নিজস্ব প্রতিনিধি, কদমতলা, ১৪ জুন: এবার গভীর রাতে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ির জানালা ভেঙে নগদ অর্থ সহ স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেল চোরের দল। ঘটনায় আতঙ্কিত গ্ৰামবাসী। অল্প কিছুদিন বিরতির পর ফের চোর আতঙ্কে কদমতলা ব্লক এলাকার জনগন। এবার ভয়ংকর চুরি কান্ড কদমতলা থানা এলাকায়।
জানা গেছে নগদ অর্থসহ স্বর্নালংকার হাতিয়ে নিয়ে নিরবে গা ঢাকা দেয় নিশিকুটুম্বের দল। এই ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে কদমতলার ঝেরঝেরি গ্রামে। ঘটনা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঝেরঝেরি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নং ওয়ার্ডে।
ঘটনা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বাড়ির মালিক তথা স্থানীয় প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান খলিল আহমেদ বলেন প্রতিদিনের ন্যায় নিজেদের রাতের খাবার সেরে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি সহ পরিবারের লোকজনরা। এমতাবস্থায় রাত দুইটা নাগাদ চোরের দল বাড়ির পেছনের জানালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। তখন বারান্দায় লাগানো ইলেকট্রিক বাল্ব গুলো খুলে নেয় চোরেরা। পরে উনার ঘরে একটি ব্যাগে রাখা নগদ দুই লক্ষ ষাট হাজার টাকা ও দুটি স্বর্নের চুড়ি এবং অন্যান্য স্বর্ণালংকার মিলে প্রায় ছয় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় নিশি কুটুম্বের দল। তবে তারা প্রতিটি ঘরের দরজা ও জানালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেছে।
এদিকে বাড়ির মালিক খলিল আহমেদ জানান ওই সময় তিনি প্রাকৃতিক কাজের জন্য বাইরে বেরোলেও বাড়িতে চোরের দলের কোনো অ্যাচ পাননি তিনি। অথচ চোরেরা তখন ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে হাত সাফাই করছে। গৃহস্থের অনুমান চোরেরা এক প্রকার নেশা জাতীয় তরল ব্যবহার করেই এই কান্ড সংগঠিত করেছে। তাছাড়া তাদের ঘরের পেছনে একটি মৌচাক ভেঙে মধুও পান করে চোরের দল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, চোরের দল ঘরে প্রবেশ করার পর অনেক ভাঙ্গচোর চালালেও ঘরে থাকা লোকজনরা কিছুই টের পাননি। তাতেই স্পষ্ট নিজেদের সুকৌশলে তাদের কাজ সম্পূর্ণ করেছে নিশি কুটুম্বের দল।
চুরি কান্ডের এই ঘটনা লিখিত আকারে কদমতলা থানায় জানানোর পর পুলিশ তড়িঘড়ি ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। তবে এখন পর্যন্ত চোরেদের টিকির নাগালও পায়নি পুলিশ। অপরদিকে বাড়ির মালিক খলিল আহমেদ জানান উনাকে হয়তো প্রাণনাশের চেষ্টাও করেছিল চেরেরা। কারণ তিনি যে ঘরে থাকেন সেই ঘরে কোন টাকা পয়সা বা মূল্যবান সামগ্রী ছিল না তবুও উনার ঘরের দরজার শাবল দিয়ে ভাঙ্গার অনেক চেষ্টা করেছে দুষ্কৃতিকারীরা।যদিও এতে সফল হয়নি। ফলে তিনি এখন প্রাণ সংশয়ে ভুগছেন।