আগরতলা, ২৭ জানুয়ারি : রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নে সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে রাজ্যে এইমসের মতো একটি বড় হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার। আজ আগরতলার সোনারতরী হোটেলে আয়োজিত অল ত্রিপুরা অপথালমোলজিক্যাল সোসাইটির ১১তম রাজ্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানে ডাক্তারদের সেবার মানসিকতা থাকতে হবে। তবেই চিকিৎসক জীবনের সার্থকতা আসবে। মানুষেরও চিকিৎসকদের উপর বিশ্বাস বাড়বে। সম্মেলনের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কাজের মাধ্যমেই মানুষের আসল পরিচয় পাওয়া যায়। এমন কাজ করে যেতে হবে যাতে ভবিষ্যতে মানুষের হৃদয়ে থাকা যায়। চিকিৎসকদের তাদের পেশার সুবাদে মানুষের কাছে যাওয়ার বিরাট সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, মানুষের শরীরের মধ্যে চোখ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যার মাধ্যমে আমরা এই পৃথিবীকে অনুভব করতে পারি। চক্ষু চিকিৎসকগণ চিকিৎসা পরিষেবার মাধ্যমে অনেক মানুষকে পৃথিবীর আলো দেখাচ্ছেন। যা অত্যন্ত মানবিক ও প্রশংসনীয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নে আন্তরিক। রাজ্যে এক সময় কোনও ডেন্টাল কলেজ ছিল না। অতি অল্প সময়ে বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় রাজ্যে ডেন্টাল কলেজ চালু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই কলেজের উদ্বোধন করেছিলেন। নার্সিং কলেজও চালু করা হয়েছে। তাছাড়াও হোমিওপ্যাথি কলেজ স্থাপনের প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে একটি বিশেষ চক্ষু চিকিৎসার হাসপাতাল স্থাপনেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের প্রতিটি জেলা হাসপাতালগুলিকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। আরও ১০০টি হেলথ সাবসেন্টার করার জন্য বাজেটে সংস্থান রাখা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার মতো রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা চালু করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই যোজনায় বছরে ৫৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এজন্য চলতি অর্থবছরের বাজেটে অর্থের সংস্থান রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্যের মানুষ এখন ত্রিপুরাতেই চিকিৎসা করাতে আগ্রহী হচ্ছেন। এখন বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করার প্রবণতা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। শুধু স্বাস্থ্য নয়, ত্রিপুরা এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে। এটা রাজ্যের মানুষ অনুভব করতে পারছেন।
সম্মেলনে দু’জন প্রবীণ চিকিৎসক ডা. হরসা ভট্টাচার্য এবং ডা. প্রণব রঞ্জন চৌধুরীকে সোসাইটির পক্ষ থেকে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা তাদের হাতে স্মারক উপহার তুলে দেন। মুখ্যমন্ত্রী সোসাইটির ১১তম রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার আবরণ উন্মোচন করেন। সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা. বি কে পাল। ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন ডা. এম এস চ্যাটার্জি। তাছাড়াও বক্তব্য রাখেন ডা. বি এন গুপ্তা ও ডা. সমর কে বসাক।