BRAKING NEWS

নাম না করে বিজেপিকে স্পষ্ট নিশানা অভিষেকের

কলকাতা, ২২ জানুয়ারি (হি.স.) : নাম না করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট নিশানা করলেন বিজেপিকে। বলেন, ”আমরা ধর্মকে সামনে রেখে রাজনীতি করি না।”

অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর সোমবার কলকাতায় সংহতি মিছিলে নামে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে পথে নামেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গুরুদ্বার, গির্জা, মসজিদ ঘুরে পার্কসার্কাস মোড়ে শেষ হয় সেই মিছিল। আর সেখানে সংহতি মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ছিলেন বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিরা, যাঁরা আজ কলকাতায় মমতার ডাকে সর্বধর্ম সমন্বয় মিছিলে হেঁটেছেন।

অভিষেকের কথায়, ”দিনটি আপনাদের কাছে গর্বের। কারণ, গোটা দেশে যখন ধর্মের নামে অস্ত্রের ঝনঝনানি চলছে, তখন বাংলায় সব ধর্মের ঐক্য সংহতি দেখিয়েছে। রাজনীতি যখন করব মানুষের রোটি-কাপড়-মকান নিয়ে করব। গা জোয়ারি করে একুশের ভোটে জিততে পারেনি। বাংলা থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে গেছে।”

নাম না করেই বিজেপিকে নিশানা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অযোধ্যার আয়োজনকে কটাক্ষ করে তাঁর বক্তব্য, ”আমি হিন্দু। সেই ধর্মাচরণ আমি বাড়িতে পালন করব। কিন্তু মানুষকে পরিষেবা দেব মানবধর্ম দিয়ে। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে একটা রাজনীতি চলছে। ভোট ধর্মের নামে নয়, কাজের নামে, ১০০ দিনের টাকার নামে ভোট দিতে হবে।”

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশের কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ”রমজানে যদি রাম থাকে আর দিওয়ালিতে যদি আলি থাকে, তাহলে কেন দুই সম্প্রদায়ের মানুষ এক হয়ে থাকতে পারবে না? আমার ধর্ম আমায় বিভাজন শেখায়নি, সবাই মিলে এক হয়ে থাকতে শিখিয়েছে।”

এই সময় মসজিদ থেকে আজানের শব্দ শুনে বক্তৃতা থামান অভিষেক। আজান শেষে তিনি যা বল বলেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অভিষেকের কথায়, ”কেউ বলছেন, হিন্দুরা বিপদে, কেউ বলছেন, মুসলমানরা বিপদে। আমি বলছি, ধর্মের চশমাটা খুলে দেখুন, গোটা হিন্দুস্তানই বিপেদ রয়েছে।” আজানের সুর শুনে ভাষণ থামিয়ে দেন অভিষেক। তার পর দ্রুতই শেষ করেন নিজের বক্তৃতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *