নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ১৩ ডিসেম্বর : বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় ধর্মনগর প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে। টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটির পক্ষে এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ডক্টর সুজিত কুমার ঘোষ এবং ডঃ হিমাদ্রি রায়। এই সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয় যে জুলাই মাস থেকে ত্রিপুরা রাজ্যে ইউনিভার্সিটি শুরু হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি-এর ক্যাম্পাস আগরতলার আনন্দনগরের মহেশখলাতে। এতদিন ত্রিপুরাতে শুধুমাত্র টেকনো ইন্ডিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে পরিচিত ছিল। পশ্চিমবঙ্গে এই গ্রুপের তিনটি ইউনিভার্সিটি চলছে। ভারতবর্ষের সাতটি রাজ্যে এই গ্রুপের ইউনিভার্সিটি কাজ করে চলেছে। কম্পিউটার সাইন্স এর মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং শাখা চালু হয়েছিল বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ারিং এর সবগুলি শাখার পড়াশোনার ব্যবস্থা রয়েছে এই ইউনিভার্সিটি আওতাধীন।
২০২৩ এর আগস্টের ৮ তারিখ থেকে রাজ্যে এই ইউনিভার্সিটিটির বেশ কিছু কোর্স চালু হয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষে আইন এবং ফার্মেসির অন্যান্য কোর্সগুলি চালু হয়ে যাবে। ছয়টি স্কলারশিপের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় উৎসাহ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া শিক্ষানীতি অবলম্বন করে এই ইউনিভার্সিটি এর পড়াশোনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
নয়া শিক্ষানীতিতে একই সাথে একই ইউনিভার্সিটির মধ্যে দুটি কোর্স করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা তাদের নিজের পছন্দমত বিষয় ঠিক করে একই সাথে দুই ধরনের ডিগ্রী প্রাপ্তি করতে পারবে।
১৯৬৮ সালে আধুনিক ভারতের রূপকার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ভারতের জন্য শিক্ষানীতি গ্রহণ করেছিলেন। ২০২০ সালে আমাদের দেশে প্রকৃতপক্ষে নয়া শিক্ষানীতিকে বাস্তবায়ন করার জয়যাত্রা শুরু হয়। এবছর থেকেই এই ইউনিভার্সিটিটির আওতাধীন বিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন শাখা, বাণিজ্যিক বিভাগের শাখাগুলি, কৃষি বিভাগের শাখা, বিভিন্ন প্রকার ম্যানেজমেন্টের শাখা, সাথে ইঞ্জিনিয়ারিং এর শাখা গুলি চালু হয়ে গেছে।
অবশিষ্ট বর্তমান সময়ের সাথে প্রয়োজনীয় শাখাগুলি ইতিমধ্যে চালু হয়ে যাবে। তাই ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে উচ্চশিক্ষা এবং বাস্তবের সাথে সময়োপযোগী বিষয়গুলিতে শিক্ষা অর্জনের জন্য বহিরাজ্যে যেতে না হয় এবং নিজের রাজ্যে আরও উন্নতমানের শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদেরকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তথা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গড়ে তুলতে পারে তার ব্যবস্থা করতে এই টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি দরজা খুলে দিয়েছে বলে জানানো হয়।
তাছাড়া বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন বিভাগে ডিগ্রি লাভ করার পর সঠিক প্লেসমেন্ট নিয়ে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, সেখানে এই ইউনিভার্সিটির কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের প্লেসমেন্টের গ্যারান্টি দিচ্ছে। ইউনিভার্সিটি কর্মকর্তাদের কথামতো রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই ইউনিভার্সিটি এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলে তারা আশাবাদী। একটা সময় ছিল যখন রাজ্যে শুধুমাত্র একটি ইউনিভার্সিটি ছিল। এখন কেন্দ্রীয় ইউনিভার্সিটি, এমবিবি ইউনিভার্সিটি, ইকফাই ইউনিভার্সিটি, এখন নতুন করে আরো দুটি ইউনিভার্সিটি আরিয়াভার্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি আত্মপ্রকাশ করল। দেশের নয়া শিক্ষানীতিকে অবলম্বন করে রাজ্যের ইউনিভার্সিটি গুলি এগিয়ে চলেছে।