গুয়াহাটি, ২১ আগস্ট (হি.স.) : গুয়াহাটির পাণ্ডু আজাদ হিন্দ ক্লাবের দেবী দুৰ্গার মাথায় উঠবে এবার হিরার মুকুট। হিরার মুকুট দান করবে জিও জেমস অ্যান্ড ডায়মন্ড কোম্পানি।
মূলত রথযাত্রার দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। প্রথা মেনে রথের দিন খুঁটি পূজা করে থাকেন অনেক উদ্যোক্তা। অনেক জায়গায় আবার দিন থেকে শুরু হয় প্রতিমার কাঠামোয় মাটির প্রলেপের কাজ। পঞ্জিকা অনুসারে আর দু-মাস পর দুর্গাপূজা। ২০ অক্টোবর পালিত হবে দুর্গাপূজার মহাষষ্ঠী। এ বছর দেবীর আগমন হবে ঘোটক বা ঘোড়ায়। আর গমন হবে ঘোড়ায়।
পাণ্ডুর আজাদ হিন্দ ক্লাবের দুর্গা পূজা এবার ৭১-তম বর্ষে পা দিয়েছে। এবারের পুজোয় এলাকার নবপ্রজন্মের যুবকরা বিশেষ চমক দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এবার হিরের মুকুটে সাজবেন মা দুর্গা। মুকুটের দাম এক কোটি টাকা।
রবিবার সন্ধ্যায় পূজার থিম ‘গৌরী এবারে হিরের সাজে বৃহৎ রূপে সবার মাঝে’ ও পোস্টার উদ্বোধন করেছেন জিও জেমস অ্যান্ড ডায়মন্ড কোম্পানির ম্যানেজার অনির্বাণ ভট্টাচার্য। জিও জেমস অ্যান্ড ডায়মন্ড কোম্পানির এমডি গোপাল কর্মকার, ডিরেক্টর চিত্রা কর্মকার হিরার মুকুট স্পন্সর করবেন। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন রাজেশ চক্রবর্তী। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছেন রুপম চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে ছিলেন পূজা কমিটির সভাপতি এনসি সূত্রধর, সম্পাদক চিরঞ্জিত দাস, সহ-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পাল অন্য সদস্যরা। এবারের থিম ‘গৌরী এবারে হিরের সাজে বৃহৎ রূপে সবার মাঝে।’
এবারের দুর্গা পূজার বিশেষ আকর্ষণ ২৩ ফুট উচ্চ মা দুর্গা প্রতিমা। প্রতিমাকে হিরার মুকুট ও বিশেষ অলঙ্কারে সুসজ্জিত করা হবে। সাবেকি প্রতিমা নির্মাণ করবেন কলকাতার শিল্পী দীপ্তরেখ ভড়। কলকাতার বাসিন্দা দীপ্তরেখ পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। আকাশবাণী থিমের আকারে প্যান্ডাল নির্মাণ করা হবে। আলোকসজ্জায় সজ্জিত করবেন স্থানীয় আলোকশিল্পী মানিক দাস। দুর্গা মণ্ডপ সংলগ্ন এলাকার চতুর্দিকে সিসি ক্যামেরা ও সিকিউরিটির বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পূজা মণ্ডপের সামনে শেডের নীচে নির্মাণ হচ্ছে প্রতিমা। প্রতিমা দেখে বোঝা গেছে, এবারও দৃষ্টিনন্দন প্রতিমা তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে নির্মাণের কাজ চলছে জোরকদমে। মণ্ডপে মাটি আর খড়ের গন্ধে মিলেমিশে একাকার।