BRAKING NEWS

কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আইনজীবী ও মুহুরীদের ভীড় ঘিরে চাঞ্চল্য


নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ জুলাই৷৷ কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আইনজীবী মুহুরীর ভীড়৷ সংশোধনাগারের কর্তৃপক্ষ  প্রণামী পেয়ে চুপ৷ অদ্ভুত কান্ডকারখানা চলছে সংশোধনাগারে৷ উঠছে নানা প্রশ্ণ৷ বেশ কয়েকমাস পূর্বে আগরতলা বার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আদালত চত্বরে অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য পুলিশ লকআপে যে কোন আসামির ওকালাত নামায় স্বাক্ষর করার জন্য আসামির আইকার্ড আধারকার্ড বা যেকোন নথি জমা দেওয়ায় বাধ্যতামূলক করা হয়৷ যার ফলে বহু আইনজীবী ও মুহুরীর হৃদস্পন্দন থেমে যায়৷ বিশেষ করে এনডিপিএস মামলায় বহিরাজ্যের আসামির আইকার্ড বা আধারকার্ড সংগ্রহে সমস্যায় পড়ে যায় কিছু আইনজীবী ও মুহুরী৷ তাছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশীদের কোন নথি না থাকার দরুন ওকালাতনামায় স্বাক্ষর করাতে পারছেন না কিছু আইনজীবী ও মুহুরী৷ তাই তারা বাধ্য হয়ে এখন নিশানা করে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে৷ প্রায় প্রতিদিন একাংশ মুহুরী ও আইনজীবী  ভীড় জমায় সংশোধনাগারে৷  অভিযোগ তাতে লাভবান সংশোধনাগারের কর্তৃপক্ষ৷ আইনজীবী ও মুহুরীদের একাংশ জেল পুলিশকে যৎসামান্য প্রণামী দিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো যেকোন মামলার আসামীদের সাথে কথা বলে ওকালাত নামায় স্বাক্ষর করে আদালতে হাজির করে৷ সংশোধনাগারে আসামিরা ওকালাত নামায় স্বাক্ষর করার  কোন নিয়মনীতি নেই৷ যার ফলে অন্য আইনজীবীদের মামলা একাংশ আইনজীবী ও মুহুরী আসামীদের ফুসলিয়ে তাদের ওকালাত নামায় স্বাক্ষর করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ৷ তাতে বার এসোসিয়েশনের অন্যান্য আইনজীবীরা ক্ষোভে ফুঁসছেন৷ এখন প্রশ্ণ হল, আসামিদের ওকালাত নামায় স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে পুলিশ কোর্টে নিয়ম থাকলে সংশোধনাগারের ক্ষেত্রে অন্য নিয়ম হবে কেন? মাসের মধ্যে কতবার আইনজীবী বা মুহুরীরা সংশোধনাগার ভিজিট করছে তার কি কোন হিসেব আছে কর্তৃপক্ষের কাছে৷ প্রয়োজনে আইনজীবী বা মুহুরীরা সংশোধনাগারে মাসে দুই তিনবার ভিজিট করতেই পারেন৷ তাই বলে সপ্তাহে চার পাঁচ দিন ভিজিট করবে নির্দিষ্ট কয়েকজন আইনজীবী ও মুহুরী? সংশোধনাগারের কর্তৃপক্ষও কি করে অনুমতি দিচ্ছেন৷ অনেকের অভিমত সংশোধনাগারের রেজেস্ট্রি খাতা ও সিসি টিভি ফুটেজ দেখলেই কোন কোন আইনজীবী ও মুহুরী সপ্তাহে চার পাঁচ দিন সংশোধনাগার ভিজিট করে অন্য আইনজীবীদের মামলার আসামিদের ফুসলিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তা জলের মতো পরিস্কার হয়ে যাবে৷ এক্ষেত্রে সংশোধনাগারের মন্ত্রী বা আগরতলা বার এসোসিয়েশনের কর্তৃপক্ষ কি ভূমিকা নেয় সেদিকে নজর আইনজীবীদের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *