নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ জুলাই৷৷ রাজ্যের সর্বত্রই চিটফান্ডের এজেন্টদের দ্বারা আর্থিকভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন মানুষ৷ ঠিক একই ভাবে এবার লাইফ ইন্সুরেন্স কপর্োরেশন বীমা প্রকল্পের এক এজেন্ট এর দ্বারা টাকা আত্মসাৎ সহ প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ তুললেন এক গ্রাহক৷ জানা গেছে, কমলা সাগর বিধানসভার নোয়াপাড়া এলাকার এক অসহায় দিন দরিদ্র সালমা খাতুন নামে এক মহিলা গোলাঘাটি এলাকার তাপস ভৌমিক নামে এক ব্যক্তির কাছে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে লাইক ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন এর একটি বীমা পলিসি করেছিলেন গত ২০২১ সালে৷ ওই মহিলা সহ উনার স্বামী মানুষের বাড়িতে কাজ করে এই বীমা প্রকল্পের জন্য প্রতি মাসের ৭৩০ টাকা করে জমা রাখতে শুরু করেন৷ ওই মহিলা এক বছর টাকা জমা দেওয়ার পর কোন রশিদ এনে দেখাতে পারেনি মহিলাকে৷ পরে ওই মহিলাকে ২০২২ সালের দুটি রশিদ এনে দেয়৷ তখন ঐ মহিলার সন্দেহ জাগে কারণ ওই মহিলা শুধু একটি পলিসি করেছিলেন তার বদলে মহিলাকে দুইটি পলিসির রশিদ এনে দেওয়া হয় তাছাড়া ওই মহিলা পলিসি করেছিলেন ২০২১ সালে কিন্তু ওই মহিলাকে ২০২২ সালের রশিদ এনে দেওয়া হয়৷ তখন মহিলা তাপস ভৌমিক নামে ওই এজেন্টকে জিজ্ঞাসা করে যে এক বছরের জমা দেওয়া টাকা কোথায়? তখন এজেন্ট তাপস ভৌমিক মহিলাকে অনেক কিছু বলে বুঝানোর চেষ্টা করেছিল৷ কিন্তু ওই মহিলা গ্রাহক কোন কিছুই বুঝতে বাকি ছিল না৷ ওই মহিলার সম্পূর্ণভাবেই বুঝে গিয়েছিল লাইফ ইন্সুরেন্স কপর্োরেশন এর এজেন্ট তাপস ভৌমিক ওই মহিলার এক বছরের জমানো টাকা আত্মসাৎ করে ফেলেছে এবং দিনের পর দিন ওই মহিলার সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছিল৷ অবশেষে গ্রাহক সালমা খাতুন নামে ওই মহিলা লাইফ ইন্সুরেন্স কপর্োরেশন এর কাছে জমানোর সম্পূর্ণ টাকা ফেরত চাইছে৷ ওই মহিলার অভিযোগ তাপস ভৌমিক নামে ওই এজেন্ট ওই মহিলার সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেছে৷ সুতরাং লাইফ ইন্সুরেন্স কপর্োরেশন এর দ্বারা মানুষ উপকৃত হলেও তাপস ভৌমিকের মতো কিছু কিছু এজেন্টদের জন্য বদনামের ভাগিদার হতে হচ্ছে৷