নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ জুলাই৷৷ উকিল বাবা কর্তৃক শ্লীলতাহানির শিকার মেয়ে৷ ঘটনা বিশ্রামগঞ্জ থানার অন্তর্গত বাঁশতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের ননজলা এলাকায়৷ ননজলা এলাকার মন্টু মিয়া ওরফে জামাল হোসেন একই এলাকার সুফিয়া খাতুনকে মঙ্গলবার রাত্রিবেলায় নিমন্ত্রণ করে তার বাড়িতে৷ সম্পর্কে সুফিয়া খাতুন মন্টু মিয়ার মেয়ের মত৷ কারণ মুসলিম সমাজে মেয়েদের বিয়ের আলাপ যে নিয়ে আসে তাকে বলা হয় উকিল বাবা৷ উকিল বাবা নিমন্ত্রণ করেছে তাই সুফিয়া খাতুন নিশ্চিন্তে চলে গিয়েছে নিমন্ত্রণ খাবার জন্য৷ হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় মন্টু মিয়া ঝাঁপিয়ে পড়ে সুফিয়ার উপর তার পাশবিক লালসা চরিতার্থ করার জন্য৷ মন্টু মিয়ার এহেন আচরণে হঠাৎ করে যেন আকাশ থেকে পড়ে যায় সুফিয়া খাতুন৷ যাকে সে সব সময় বাবা বলে ডাকে সেই উকিল বাবা এমন কাণ্ড ঘটাবে তা ভেবে উঠতে পারেনি সুফিয়া৷ অন্ধকার ঘরের মধ্যে কি করবে ভেবে উঠতে পারছিল না৷ মন্টু মিয়ার কাছ থেকে কোনরকমে নিজেকে বাঁচিয়ে ঘরের বাইরে এসে চিৎকার শুরু করে দেয় সুফিয়া৷ সুফিয়ার চিৎকার শুনে গোটা গ্রামের মানুষ ছুটে আসে মন্টু মিয়ার বাড়ির সামনে৷ তখন সমস্ত ঘটনা এলাকাবাসীর সামনে খুলে বলে সুফিয়া খাতুন৷ অথচ এই মন্টু মিয়াই সুফিয়ার বিয়ের ঘটক ছিল৷ এই ঘটনা শোনার পর গ্রামের মানুষ ক্ষেপে লাল হয়ে যায়৷ বুধবার দিন সন্ধ্যা বেলায় এই বিষয়টি নিয়ে গ্রামে সালিশি সভা বসার কথা ছিল৷ হঠাৎ করে সালিশি সভা বসার আগেই বিশ্রামগঞ্জ থানার পুলিশ মন্টুমিয়া ওরফে জামাল হোসেনকে তুলে নিয়ে আসে বিশ্রামগঞ্জ থানায় অন্য একটি মামলার কথা বলে৷ মন্টু মিয়া এর আগে তিনটি বিয়ে করেছে৷ এরপরেও গ্রামের বিভিন্ন মহিলাদের উপর তার কুনজর সবসময় পড়ে থাকে৷ তাকে গ্রামের মানুষ কখনো ভালো চোখে দেখেনি৷ এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে গোটা গ্রামের মানুষ বিশ্রামগঞ্জ থানায় আসে৷ সঙ্গে আসে নির্যাতিতা গৃহবধূ সুফিয়া খাতুন এবং তার স্বামী মামুন হোসেনও৷ বিশ্রামগঞ্জ থানায় মন্টু মিয়া উরফে জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে এফআইআর করে সুফিয়া খাতুন৷ এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিশ্রামগঞ্জ থানার সামনে এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী বুদ্ধ দেববর্মা ,কৃষ্ণ দেববর্মা এবং সাহিদুল হোসেন বলেন এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীকে আইন অনুযায়ী যাতে কঠোর সাজা দেওয়া হয় তার দাবি জানাই৷ পুলিশ প্রশাসনের প্রতি ও আমাদের আস্থা এবং বিশ্বাস রয়েছে৷ এই সমস্ত বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন লোকেদের কঠোর সাজা হওয়া দরকার বলে সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন এলাকার লোকজন৷ এই ঘটনায় যথেষ্ট উত্তেজনা বিরাজ করছে ননজলা গ্রামে৷
ত্তত্তত্তত্তত্তত্ত