ক্যানিং, ১৬ জুলাই (হি. স.) পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে যে অশান্তি হচ্ছে, খুন হচ্ছে তার পিছনে উস্কানি আছে শুভেন্দু অধিকারীর। বিরোধী দলনেতাই দায়ি এই খুনের জন্য। ক্যানিংয়ে এই ধরনের অশান্তি করতে এলে ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড চত্বরে তাঁকে বেঁধে রাখার হুমকি দেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশ রাম দাস। পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে অশান্তি ছড়ানো, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুরুচিকর কথা বলার জন্য তাঁর বিধায়ক পদও খারিজ হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন পরেশ। রবিবার বিকেলে ক্যানিং বাসস্ট্যান্ডে ২১ শে জুলাই শহীদ দিবসের প্রস্তুতি সভার মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতাকে বেনজির আক্রমণ করেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ক।
এদিন পরেশ বলেন, “ বারুইপুরের মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে শুভেন্দুকে। যেভাবে পাগলা কুকুরের মতো ছুটছেন তাতে ওখানেই ঠাই হবে ওনার। বিজেপির পুরাতন কর্মীরাই ওনার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছেন, তাই নিজের সংসার বাঁচান অন্যকে সমালোচনা করা ছাড়ুন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নখের যোগ্য নন শুভেন্দু।” তিনি এদিন আরও বলেন, “ ওর মুখের যা ভাষা, যে জ্ঞান, নির্লজ্জ, অপদার্থ একটা লোক। নন্দীগ্রামে লোডশেডিং করে জিতেছিলেন। আপনাদের সামনে চ্যালেঞ্জ করছি, ক্ষমতা থাকলে শুভেন্দু ক্যানিংয়ে আসুন, এলাকায় অরাজকতা করুন, ক্যানিংয়ের মানুষকে ভুল বোঝান, মিথ্যা প্রচার করুন, আপনাকে ক্যানিং বাসস্ট্যান্ডেই বেঁধে রাখবো। আপনাকে কেউই এখান থেকে ছাড়িয়ে মেদিনীপুরে নিয়ে যেতে পারবে না এত বড় কথা বললাম।”
নির্বাচনকে সামনে রেখে বারে বারে আদালতে গিয়েছেন শুভেন্দু। বারে বারে নির্বাচন কমিশনকে হেনস্থা করেছেন বলেও পরেশ এদিন বেঁধেন শুভেন্দুকে। পরেশ বলেন, “সারা রাজ্যের যেখানেই অশান্তি হচ্ছে সেখানে গিয়েই মানুষকে উস্কানি দিচ্ছেন তিনি। ওনার উস্কানির জন্যই রাজ্য জুড়ে এত খুন হচ্ছে। একটা অপদার্থ, মুখের ভাষা এত খারাপ, একজন মুখ্যমন্ত্রীকে কোমরে দড়ি বেঁধে ঘোরাবেন বলছেন? আমি ওনার বিরুদ্ধে কোর্টে যাবো। তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবো। স্পিকারের কাছে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের জন্য আবেদন করবো।” শুভেন্দুর পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ পদ খারিজের জন্য আবেদনকারী বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খাঁকেও এক হাত নেন পরেশ। তিনি বলেন, “ নিজের ঘর সামলাতে পারে না, নিজের বউকে আটকাতে পারে না। সে নাকি আবার লোকসভার স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছেন?। আগে নিজের সংসার সামলান, তারপর এসব করবেন।”