নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ জুলাই৷৷ আবারও অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা বাংলাদেশের এক নাগরিক আটক৷ ঘটনা কৈলাসহরের ইরানী থানার অন্তর্ভুক্ত লাটিয়াপুরা এলাকায়৷ আটক বাংলাদেশের নাগরিককে ইরানী থানার পুলিশ বুধবার দুপুরে কৈলাসহরের আদালতে প্রেরণ করে৷ এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় তীব্র চাঞ্চলের সৃষ্টি হয় উল্লেখ্য,ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত ঘেঁষা কৈলাসহরের ইরানী থানার অন্তর্ভুক্ত লাটিয়াপুরা গ্রামটি অবস্থিত৷ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইরানী থানার ওসি যতীন্দ্র দাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ এবং টি.এস.আর বাহিনী লাটিয়াপুরা গ্রাম থেকে সন্দেহজনক যুবককে আটক করে ইরানী থানায় নিয়ে আসে৷ পরবর্তী সময়ে ইরানী থানার পুলিশের কাছে ধৃত যুবক নিজেই স্বীকার করে জানায় যে, সে বাংলাদেশের নাগরিক এবং সে বৈধ কাগজ পত্র ছাড়াই গত একমাস পূর্বে ভারতে প্রবেশ করেছিলো ৷ তবে, এব্যাপারে ইরানী থানার ওসি যতীন্দ্র দাস জানান যে, ধৃত বাংলাদেশের নাগরিকের নাম নকুল দেবনাথ, পিতা -বনমালী দেবনাথ৷ ধৃত বাংলাদেশের নাগরিক বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার মজলিশপুর গ্রামের বাসিন্দা৷ ইরানী থানার পুলিশ নকুলের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা নিয়েছে৷ পুলিশ বুধবার দুপুরে কৈলাসহরের আদালতে নকুল দেবনাথকে প্রেরণ করেছে৷ তবে, ইরানী থানার ওসি যতীন্দ্র দাস এও জানান যে, লাটিয়াপুরা গ্রামের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তে বি.এস.এফের ডিউটিতে গাফিলতি রয়েছে৷ বি.এস.এফের খামখেয়ালিপনার জন্যই অবৈধভাবে বাংলাদেশের নাগরিকরা ভারতে অনায়াসে প্রবেশ করছে বলে ওসি যতীন্দ্র দাস জানান৷ তবে, আটক বাংলাদেশের নাগরিক নকুল দেবনাথ জানান যে, বিগত একমাস পূর্বে লাটিয়াপুরা গ্রামের এক দালালের মাধ্যমে নকুল দেবনাথ বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পাড় হয়ে ধর্মনগর শহরে বোনের বাড়িতে এসেছিলো৷ অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার জন্য পাঁচ হাজার টাকা দালালকে দিয়েছে বলে আটক বাংলাদেশের নাগরিক নকুল দেবনাথ জানান৷ গতকাল সন্ধ্যায় নকুল দেবনাথ ফের সেই দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশ যাবার জন্য লাটিয়াপুরা গ্রামে এসেছিলো এবং ফের আবার পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে সেই দালাল গভীর রাতে নকুলকে লাটিয়াপুরা গ্রামের ভারত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ পাঠাবে বলে নিয়ে এসেছিল৷