BRAKING NEWS

সমস্ত ট্রেনের এসি চেয়ার কার ও এগজিকিউটিভ ক্লাসে ডিস্কাউন্ট স্কিম চালু

গুয়াহাটি, ৮ জুলাই (হি.স.) : ট্রেনে আসন ব্যবস্থার অধিক ব্যবহার অনুকূল করার লক্ষ্যে রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এসি সিটিং আসনযুক্ত ট্রেনগুলিতে রেহাইযুক্ত ভাড়ার স্কিম চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই স্কিমে অনুভূতি ও ভিস্তাডোম কোচ সহ এসি আসনযুক্ত সমস্ত ট্রেনের এসি চেয়ার কার ও এগজিকিউটিভ ক্লাসে প্রযোজ্য হবে। তবে হলিডে / ফেস্টিভ্যাল স্পেশাল ইত্যাদি হিসেবে চালুকৃত স্পেশাল ট্রেনগুলিতে এই স্কিম প্রযোজ্য হবে না।

এক প্রেসবার্তায় এ খবর জানিয়েছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে। প্রেসবার্তায় তিনি জানান, রেহাইয়ের উপাদান মূল ভাড়ার সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত হবে। রিজার্ভেশন মাশুল, সুপার ফাস্ট উপমাশুল, জিএসটি ইত্যাদির মতো অন্যান্য মাশুল প্রযোজ্য অনুযায়ী পৃথকভাবে ধার্য করা হবে। আসন পূর্ণতার ভিত্তিতে যে কোনও অথবা সমস্ত ক্লাসে এই রেহাই প্রদান করা হবে। অন্তিম ৩০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশের কম আসন পূর্ণ হওয়া ট্রেনের ক্লাসগুলি (সেকশনের উপর নির্ভর করে হয় শেষ থেকে শেষ পর্যন্ত অথবা কিছু নির্দিষ্ট লেগ/সেকশনে যেখানে রেহাই প্রদান করা হবে) বিবেচনার জন্য গ্রহণ করা হবে।

সব্যসাচী দে জানান, যাত্রার প্রথম লেগ এবং অথবা যাত্রার শেষ লেগ অথবা মধ্যবর্তী সেকশন অথবা যাত্রার শেষ থেকে শেষ পর্যন্ত এই রেহাই দেওয়া হতে পারে, যদি সেই লেগ / সেকশন / শেষ থেকে শেষ পর্যন্ত ৫০ শতাংশের কম আসন পূর্ণ হয় ক্ষেত্র হিসেবে। এই রেহাই তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। তবে ইতিমধ্যে বুক করা যাত্রীদের জন্য ভাড়া ফেরতযোগ্য হবে না।

এ ধরনের রেহাই প্রাথমিকভাবে ট্রেনের যাত্রা শুরু হওয়া স্টেশনের সংশ্লিষ্ট জোনের নির্ধারিত একটি সময়ের জন্য বাস্তবায়িত করা হবে বাস্তবায়িত হওয়ার সময় যাত্রার তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাসের অধীনে। উল্লিখিত সময়ের চাহিদা অনুযায়ী সমগ্র সময়সীমা অথবা আংশিক সময়সীমা অথবা মাসিক ভিত্তিক অথবা সিজনাল অথবা সাপ্তাহিক দিন / সপ্তাহান্তের জন্য রেহাইযুক্ত ভাড়া প্রদান করা হবে।

পিটিও / রেলওয়ে পাস-এর ভাড়ার পার্থক্যতা / কনসেশনাল ভাউচার / এমএলএ / এক্স-এমএলএ-র কুপন / ওয়ারেন্ট / এমপি / এক্স-এমপি / স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রমুখদের টিকিট প্রকৃত ক্লাসের ভাড়া অনুযায়ী বুক করতে হবে রেহাইযুক্ত ভাড়ায় নয়। যদি রেহাই শেষ থেকে শেষ ভিত্তিক প্রদান করা হয় তা-হলে নির্ধারিত সময়ের জন্য এ ধরনের ট্রেনে তৎকাল কোটা নির্ধারণ করা হবে না। এছাড়া যদি ট্রেনের আংশিক যাত্রার জন্য রেহাই দেওয়া হয়, তা-হলে যেখানে রেহাই দেওয়া হয়েছে সেখানে আংশিক যাত্রার জন্য তৎকাল কোটা দেওয়া হবে না। প্রথম তালিকা তৈরি করার সময় এবং বর্তমান বুকিঙের সময় পর্যন্ত বুকিং করা টিকিটের জন্য এই রেহাই দেওয়া হবে। টিটিই-র দ্বারাও অনবোর্ডে এই রেহাইয়ের অনুমোদিত হতে পারে। এই স্কিমের ব্যবস্থা এক বছর সময় পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে বলে জানান উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *