নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ জুলাই৷৷ ত্রিপুরা রাজ্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে অন্যতম ম্যালেরিয়া প্রবণ রাজ্য হিসেবে পরিচিত৷ কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যে ম্যালেরিয়া দমনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে৷ এজন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ রয়েছে৷ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবছর ডিডিটি জড়ানো হতো৷ মশার উপদ্রব দমনের জন্য এটি একটি প্রক্রিয়া৷ অথচ আশ্চর্যজনকভাবে রাজ্যে এই প্রক্রিয়া স্বাস্থ্য দপ্তর বন্ধ করে রেখেছে৷ এর ফলে একদিকে যেমন মশার উপদ্রব বাড়ছে অন্যদিকে এই কাজে যুক্ত শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন৷
২৫ / ৩০বছর ধরে কাজ করলেও আজ অব্দি সরকার স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীন কর্মরত ডিডিটি ছড়ানোর কাজে যুক্ত কর্মীদের নিয়মিত করেনি৷সেইসব কর্মীদের রেগুলার কিংবা কাজের কোনো ধরনের গ্যারান্টি দেয়নি৷ এবার কৈলাসহরের ম্যালেরিয়া ডিডিটি কর্মীরা আন্দোলনে নামলো৷ ৫জুলাই বুধবার বিকেলে কৈলাসহরের ম্যালেরিয়া ডি.ডি.টি কর্মীরা ঊনকোটি জেলার মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জে.বি ডারলং-এর নিকট ডেপুটেশনে মিলিত হয়৷ ডি.ডি,.টি কর্মীরা জানায় যে, ২০২০সালের জুন মাসের পর থেকে চলতি বছর অব্দি তাদেরকে কাজ দেওয়া হচ্ছেনা৷ তাদেরকে কাজ না দেওয়ায় তারা বেকার হয়ে রয়েছেন৷ এর ফলে তারা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন৷ সংসার প্রতিপালন করতে হিমসিম খাচ্ছেন৷ তারা বিষয়টি বেশ কয়েকবার দপ্তরের নজরে নিয়েছেন৷ কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না৷ এমনকি, তারা স্থানীয় বিধায়ক সহ মন্ত্রীর কাছে লিখিতভাবেও জানিয়েছেন৷ তারপরও তাদের নিয়ে কেউ চিন্তা ভাবনা করছেন না বলে অভিযোগ৷ কৈলাসহর মহকুমায় ৩৬জন ম্যালেরিয়া ডি.ডি.টি কর্মী রয়েছেন এবং ঊনকোটি জেলায় ৭২জন ম্যালেরিয়া ডি.ডি.টি কর্মী রয়েছেন বলে ডেপুটেশনকারী ম্যালেরিয়া ডি.ডি.টি কর্মীরা জানিয়েছেন৷ সারা রাজ্যেই ম্যালেরিয়া ডি.ডি.টি কর্মীদের কাজ দেওয়া হচ্ছেনা বলেও জানান৷ তারা প্রকাশ্যেই জানান যে, ২৫ বছর কিংবা ৩০বছর ধরে কাজ করার পরও আজ তারা কর্মহীন হয়ে রয়েছেন৷ তাদের কাজের কোনো গ্যারান্টি নেই৷ তাদের ভবিষ্যত অন্ধকারময়৷ তাদের নিয়ে কেউ চিন্তা করেনা৷ এরা রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে, তাদের সম্পুর্ন বিশ্বাস রয়েছে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা তাদের ব্যাপারে কিছু একটা করবেন৷ পাঁচ জুলাই ম্যালেরিয়া ডি.ডি.টি কর্মীদের ডেপুটেশনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডি.ডি.টি কর্মী বিশ্বজিৎ দেব, তপন মালাকার, অমল চন্দ্র দেব খালেক মিঞা, রাখাল মালাকার, গুঞ্জন দেববর্মা সহ অন্যান্যরা৷