সিউড়ি, ২ জুলাই (হি. স.) : “যদি টাকা ভোটের জন্য দেয় তাহলে ভোট না পেলে তো লক্ষ্মী ভাণ্ডার বন্ধ করবেই। এখন মানুষ ভাবুক ৫০০ টাকার জন্য ভোট দেবেন না চোরেদের তাড়াবেন”! রবিবার সকালে তারাপীঠে চায়ে পে চর্চা অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে শনিবার বীরভূমে আসেন দিলীপ ঘোষ। রবিবার সকালে তারাপীঠ সংলগ্ন কড়কড়িয়া মোড়ে একটি চায়ের দোকানে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে চায়ে পে চর্চায় বসেন। সেখানেই সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দিলীপবাবু বলেন, “পরাজয় জেনে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা এখন লক্ষ্মী ভাণ্ডার বন্ধ করার হুমকি দিচ্ছেন। লক্ষ্মী ভাণ্ডার সত্যিই যদি ভোটের জন্য দেওয়া হয় তাহলে তো বন্ধ হবেই। এখন মানুষ ঠিক করবেন ৫০০ টাকার জন্য ভোট দেবেন কিনা”।
কেন্দ্রীয় বাহিনী না দিলে সরকারি কর্মচারীরা ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবেন না। লুঠপাট হবে। এক্সট্রা ব্যালট ছাপানো হয়েছে। সেগুলো ঢোকান হবে। সমস্ত রাজনৈতিক দল, সাধারন মানুষ চাইছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথে থাক। আশা করব শেষ পর্যন্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেবে”।
রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গ সফর প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, “যেটা মুখ্যমন্ত্রী কিংবা তাদের মন্ত্রীদের করার কথা ছিল সেটা রাজ্যপাল করছেন। এটা খুব প্রাসঙ্গিক। এরফলে মানুষের আস্থা বাড়বে”।
সন্ত্রাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিজেপির কোন দুষ্কৃতী নেই, কোন আশ্রিত নেই। তৃণমূলের এত ভালো ছাতা থাকতে আমাদের কাছে আশ্রয় নেবে কেন? সব টিএমসির আশ্রয়ে আছে। তারাই আলাদা আলাদা দল হয়ে মারামারি করছে। সব জায়গায় তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি মারামারি হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে। ভয় না দেখিয়ে তৃণমূল জিততে পারবে না। তবে তৃণমূল এবার হারবে। তাই হারার ভয়ে লোককে ভয় দেখাচ্ছে।”
ভাঙ্গর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওখানে মুসলিমরাই নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে গেছে। নিজেদের মধ্যেই খুনোখুনি হচ্ছে। শওকত মোল্লাকে মমতা বন্দোপাধ্যায় জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা দিয়ে পাঠিয়েছে যাতে মারপিটটা করতে পারে। রাস্তায় বোম পড়ে আছে বন্দুক পড়ে আছে। গায়ের জোরে ভোট করার চেষ্টা করছে।”
শনিবার তারাপীঠে তৃণমূলের একটি কর্মী সম্মেলনে, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন ২০২৪ এ ক্ষমতায় বিজেপি থাকবে না। তখন আজকে যারা বিরোধীদের জেলে ভরছে তারাই জেলে যাবে। সেই প্রশ্নের উত্তরে আজ দিলীপ ঘোষ বলেন ” টিএমসি ২০২৪ পর্যন্ত থাকবে কি? দেখতে পাবে ২০২৪ ? আগে ২৩ তো পার করুন। কজন জেলের ভাত খান কজন বাড়ির ভাত খান সেটা দেখা যাবে। ২৪ এর হিসাব আমরা বুঝে নেব।”