BRAKING NEWS

ভগবানের নামে চাঁদা তুলে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছে ইসকন, অভিযোগ স্বজনহারাদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ জুলাই৷৷  কুমারঘাটে ইসকন আয়োজিত সেই উল্টো রথের মর্মান্তিক ঘটনার কালো দিনের ছবি আজো জীবন্ত কুমারঘাটবাসীর চোখে৷ ঘটনাস্থলের চারপাশে এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সেইসব অভিশপ্ত কাহিনির স্মৃতিচিহ্ণগুলো৷এলাকার দিকে দিকে আজ শুধু স্বজন হারাদের আর্ত চিৎকার৷জগন্নাথের নামে চুটিয়ে ব্যাবসা চালাচ্ছে ইসকন৷ বললো সদ্য নাতনি হারানো এক ঠাকুমা৷’’ভক্তদের ঘাড়ে ঘটনার দায় চাপালো কুমারঘাট ইসকনের এক সাধুবাবা৷’’ইসকনের রথে গিয়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সেদিন রাজপথে আগুনের লেলিহান শিখায় সবার চোখের সামনেই পুুড়ে ছাই হয়েছিলো একসাথে ছয়টি প্রান৷ আহত হয়েছিলেন সতেরো জনেরও বেশি জগন্নাথের ভক্ত৷ পরে চিকৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যু হয় আরো একজনের৷ এই ঘটনায় সাথে সাথেই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক মুখ দেখিয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার৷ কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলোএতোবড়ো কাণ্ড ঘটলেও এখনো চুপ জগন্নাথের তথাকথিত এজেন্টরা৷’’
সনাতন ধর্মে যেখানে কথিত আছে রথ হবে ধাতব বস্তু বিহিন নিম কাঠের তৈরী সেখানে পুরানো রিতিকে একপ্রকার উনুনে ফেলে আধুনিকতার ছোয়া লাগিয়ে সম্পূর্ন লোহার রথ তৈরী করে এখন সাধারন মানুষের প্রশ্ণের মুখে ধর্মের দোকান চালানো স্ব-ঘোষিত ভগবানরা৷ পুরানে কথিত আছে যেইপথে জগন্নাথ দেব বলরাম এবং সুভদ্রাকে নিয়ে মাসির বাড়ীতে যাবেন ঠিক একই পথে ফিরবেন নিজের বাড়ীতে৷ কিন্তু কুমারঘাটে সেই রিতিকেও ঝেড়ে ফেলে দিয়ে উল্টো রথের দিন রাস্তা পরিবর্তন করে নিয়েছিলো ধর্মের ব্যাপারীরা৷ ইসকনের এসব কাণ্ডে প্রকাশ্যেই ধিক্কার জানাচ্ছেন কুমারঘাটের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ৷ ঘটনায় ইসকনকে দায়ী করে তাদের শাস্তির দাবী করলেন প্রতিবাদী জনতা৷ স্থানীয় বাসিন্দা৷ঘটনায় স্বজন হারানোর শোক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি সেখানকার লোকেরা৷ তাই এলাকার দিকে দিকে আজো শুধু নিহতদের প্রিয়জনের আর্ত চিৎকার৷ সদ্য ছয় বছরের ছেলে হারানো এক পিতা বললেন এই রথ কলঙ্কিত রথ৷ লোহার বদলে নিয়ম মেনে কাঠের রথ তৈরী হলে হয়তো এমনটা হতোনা৷ ইসকনের ভূলেই আজ ছেলের মুখাগ্ণি করতে হলো আমাকে৷ এদের কঠোর শাস্তি চাই৷
এদিকে ফুটফুটে নাতনি হারানোর শোকে ইসকনের বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক মন্তব্য এক বৃদ্ধার৷ তার অভিযোগ ভগবানের নামে চাঁদা তুলে কোটি কোটি টাকার ব্যাবসা করছে টিক্কিধারীরা৷ জগন্নাথের এজেন্টকে দেখলেই তাদের টিক্কি টেনে ছিড়বো, হাতের কাছে পেলে বেদম কেলাবো৷ তাদের ভূলেই আজ এই পরিনতি৷ প্রকাশ্যেই ইসকনের বিরুদ্ধে এমন বোমা ফাটালেন ঐ শোকাতুর বৃদ্ধা৷
প্রশাসনের আনুমতিও ছিলোনা এই পথে রথ যাবার৷ পুলিশ বাধা দিলে তা মানেনি রথের আয়োজকরা৷ ঘটনায় মামলা হাতে নেওয়া হয়েছে৷ বললেন কুমারঘাট থানার ওসি৷ কিন্ত পুলিশ কেনো পারলোনা অনুমতি ছাড়া বের হওয়া রথকে সর্বশক্তি দিয়ে হলেও আটকাতে? নেই তার উত্তর৷
এতোবড়ো ঘটনার পর এখনো আহত এবং নিহতদের পাশে নেই ইসকন৷ কেন পাশে নেই? কেন প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়নি?কেনই বা নিয়ম ভেঙে লোহার রথ তৈরী করা হলো?কুমারঘাটের ইসকন মন্দীরে সার্জিকেল স্ট্রাইক চালানো রাজ্যের সবকটি মিডিয়ার প্রশ্ণের জবাবে কার্যত দায়সারা বক্তব্যের মাঝে ভক্তদের ঘাড়ে ঘটনার দায় চাপালেন জগন্নাথের এজেন্ট৷ তিনি বললেন ভক্তরা রথ নিয়েগেছে, আমরা যেতে চাইনি৷ এটা ভক্ত কমিটির সিদ্ধান্ত মতোই হয়েছে৷শুনুন ইসকনের এক চেলার সেই বক্তব্য৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *