BRAKING NEWS

সন্ত্রাস বিধ্বস্ত ভাঙড়ে এল কেন্দ্রীয় বাহিনী

কলকাতা, ২৪ জুন (হি. স.) : সন্ত্রাস বিধ্বস্ত ভাঙড়ে এল কেন্দ্রীয় বাহিনী । শনিবার সেই ভাঙড়ে এল এক কোম্পানি আধাসেনা। দ্রুত শুরু হবে রুট মার্চ।

পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে অশান্তি ছড়িয়েছে। ভোটের দিন ঘোষণার পর সেই অশান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ। তৃণমূল-আইএসএফের সংঘর্ষে তিন জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সেই ভাঙড়ে এল এক কোম্পানি আধাসেনা। বস্তুত, অশান্তির পর এই প্রথম আধাসেনা এসেছে এলাকায়। বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। এলাকায় রুটমার্চ চলছে। তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ে।

আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে একাধিক জেলায় টহলদারি শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুক্রবারই বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন এবং প্রত্যাহার পর্বে রাজ্য জুড়ে হিংসার বাড়বাড়ন্তের অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। ভোট এবং গণনার সময় তার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে বহু টানাপড়েনের পর কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রের কাছে ‘রিকুইজিশন’ পাঠায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই অনুযায়ী বাহিনীর আগমনও শুরু হয়ে গিয়েছে শুক্রবার থেকে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, ভোট গণনার পরও ১৫ দিন থাকুক কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই দাবি তিনি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি মেনে এক লপ্তে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শুক্রবার পর্যন্ত ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করে অমিত শাহের মন্ত্রক। শনিবারও কয়েকটি কোম্পানি এসেছে। জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, হুগলির সিউড়ি থেকে ঝাড়গ্রাম, আরামবাগ থেকে দিনহাটা, সর্বত্র রুটমার্চ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

অন্যদিকে, শনিবারই ভাঙড়ে আইএসএফ-তৃণমূল খণ্ডযুদ্ধে ২ তৃণমূল কর্মী এবং এক আইএসএফ কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। শনিবার বিকেলে কাশীপুর থানায় আসেন সিআইডির গোয়েন্দারা। বেশ কিছু ক্ষণ পর থানা থেকে বেরিয়ে তাঁরা ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজার পরিদর্শন করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, যে এলাকায় গন্ডগোল হয়েছিল, সেখানেও গোয়েন্দারা যাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *