নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ জুন৷৷ প্রতারক চক্রের জালে পা দিয়ে ৬০০০ টাকা খোয়ালেন এক মহিলা৷ বেশ কয়েক বছর ধরে রাজ্য পুলিশের থেকে সকলকে প্রতারক চক্রের কাছ থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে৷কিন্তু তারপরেও মানুষ সেই রকম ভাবে জাগ্রত হচ্ছে না৷ যার ফলে এখনো কিছু কিছু মানুষ প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়াতে হচ্ছে৷ ঠিক একই ভাবে গোলাঘাটি বিধানসভার কাঞ্চনমালা এলাকার দুই নং ওয়ার্ডের রবিজিৎ গোস্বামীর স্ত্রী সুস্মিতা দাস গোস্বামী গত কিছুদিন আগে তার মোবাইলের ফেসবুকের মাধ্যমে দেখতে পায় নটরাজ কাঠপেন্সিল কোম্পানির কাজ করলে প্রচুর টাকা রোজগার করা যায়৷ সেই অনুযায়ী সুস্মিতা দাস গোস্বামী ফেসবুক থেকে ওই কোম্পানির নাম্বারে যোগাযোগ করলে তার সমস্ত কাগজপত্র ওয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে দিতে৷ , সুস্মিতাও সেই প্রতারক চক্রের কথা অনুসারে তাদের হোয়াটস্যাপে সমস্ত কাগজপত্র জমা দেয়৷ তারপরেই শুরু হয় প্রতারক চক্রের জাল বিস্তার করা৷ প্রতারক চক্রের পক্ষ থেকে সুস্মিতাকে মোবাইলের মাধ্যমে একটি ভূয়ো পরিচয় পত্র দেয়৷ এতে সুস্মিতা দাস গোস্বামীর ওই কোম্পানির প্রতি আরো বিশ্বাস বেড়ে যায়৷ পরে প্রতারক চক্রের পক্ষ থেকে সুস্মিতা দাস গোস্বামীকে ভর্তির ফি সহ টাকা দাবি করে৷ সুস্মিতা দাস গোস্বামীও কয়েক ধাপে প্রায় ছয় হাজার টাকার দিয়ে দেয়৷ তারপর যখন প্রতারক চক্রের পক্ষ থেকে জি এস টি বাবদ আরো ৩০০০ টাকা দাবি করে৷ তখনই সুস্মিতা দাস গোস্বামীর মধ্যে সন্দেহের দানা বাধে৷ এদিকে প্রতারক চক্র সুস্মিতা দাস গোস্বামীকে হুমকি দিতে থাকে যদি তিন হাজার টাকা না দেওয়া হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে৷ ততক্ষণে সুস্মিতা দাস গোস্বামী বুঝে গিয়েছিল যে সে প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়েছে৷ সে বিষয়টি আমতলী থানার পুলিশকে জানিয়েছে৷