নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ জুন৷৷ গৃহবধূর খুনের ঘটনায় গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন আইনের কাছে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন৷ খয়েরপুর পূর্ব চাম্পামুরা সরকার টিলা এলাকার দিববা ভারতী সরকারের গত ১১ বছর আগে ভালবেসে মোহনপুর নোয়াগাঁও দুধ পাতিল এলাকার দীপক দাস বৈষ্ণবের সাথে বিবাহ হয়েছিল৷ বিয়ের বছরখানেক পর তাদের সংসারে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়৷ তারপর থেকেই দিববা ভারতী সরকারের স্বামী দীপক দাস বৈষ্ণব তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে৷ কিন্তু তারপরেও সে তার সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সমস্ত নির্যাতন সহ্য করেছিল৷ দীপক দাস বৈষ্ণব পারিবারিক ঝগড়াকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রী দিববা ভারতীর শরীরে আগুন লাগিয়ে খুন করার চেষ্টা করে৷ পরে ওই গৃহবধূর চিৎকারে আশেপাশের বাড়ি ঘরের লোকজন ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে জিবি হাসপাতালে ভর্তি করায়৷ গত ১০ জুন চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে দিববা ভারতী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে৷ সেদিন ঐ গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন তার এই অবস্থা দেখে হাসপাতালে কান্নাকাটি করছিল৷ ঠিক তখনই গৃহবধূর স্বামী দীপক দাস বৈষ্ণব এবং গৃহবধূর দুই ভাসুর স্বপন দাস বৈষ্ণব এবং জয়ন্ত দাস বৈষ্ণব ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ির মহিলাদের উপর আচমকা আক্রমণ করে৷ হাসপাতালের অন্যান্যরা তার প্রতিবাদ করতে আসলে ঘটনাস্থল থেকে আক্রমণকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷ পরে দিববা ভারতীর বাবার বাড়ির লোকজন রানির বাজার থানায় মামলা দাদের করতে গেলে পুলিশ সেই মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে৷ পরে তারা পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপারের কাছেও নালিশ জানায়৷ কিন্তু তাতেও রানীবাজার থানার পুলিশ মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে৷ বাধ্য হয়ে ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিল৷ মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ অনুসারে রাণীর বাজার থানার পুলিশ অভিযুক্ত দীপক দাস বৈষ্ণব সহ তার দুই ভাই স্বপন এবং জয়ন্ত দাস বৈষ্ণবের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন এবং খুনের অভিযোগে মামলা গ্রহণ করে৷ ০৩৫, ভারতীয় দণ্ডবিধি ৪৯৮(এ),৩০২,৩৪ আইপিসি ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে ঘটনার মূল অভিযুক্ত দীপক দাস বৈষ্ণবকে গ্রেফতার করে৷ বর্তমানে সে জেল হেফাজতে রয়েছে৷