BRAKING NEWS

গুয়াহাটিতে ভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি বিভি শ্রীনিবাস, হাজিরা দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের সামনে


গুয়াহাটি, ২২ মে (হি.স.) : অবশেষে গুয়াহাটি এসেছেন ভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি শ্রীনিবাস ভদ্রাবতী ভেঙ্কটা (বিভি)। অসম প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভানেত্রী (সদ্যবহিষ্কৃত) অঙ্কিতা দত্তের দায়েরকৃত যৌন হয়রানি মামলায় গুয়াহাটিতে অসম পুলিশের সামনে হাজির হয়েছেন শ্রীনিবাস।

আজ সোমবার সকাল ৯:৩০টায় শ্রীনিবাস বিভি গুয়াহাটি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরে তাঁকে সাংসদ আব্দুল খালেক সহ দলের কর্মীরা ফুলাম গামোছা এবং ঝাঁপি পরিয়ে সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি শ্রীনিবাস বিভি আজ প্ৰথমে পানবাজার মহিলা থানায় গিয়ে হাজিরা দেন। সেখানে তাঁকে মামলা সংক্রান্ত নানা প্রশ্ন করেন পুলিশ অফিসাররা। পানবাজার থানা থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় উলুবাড়িতে অবস্থিত অসম পুলিশের সিআইডি-র সদর দফতরে। সিআইডি দফতরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর সিআইডি দফতর থেকে দলীয় নেতারা তাঁকে নিয়ে যান এমএলএ হোস্টেলে। এমএলএ হোস্টেল থেকে সোজা কামাখ্যা মন্দিরে গিয়ে মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে বিকেলের দিকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন সৰ্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি শ্রীনিবাস বিভি।

আজ তাঁর সঙ্গে সৰ্বক্ষণ ছিলেন রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা দেবব্ৰত শইকিয়া, প্রদেশ কংগ্ৰেসের শীর্ষ নেতা রকিবুল হুসেন, সাংসদ আব্দুল খালেক প্রমুখ।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, বহিষ্কৃত অসম প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভানেত্রী অঙ্কিতা দত্ত দিশপুর থানায় এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাতে তিনি লিখেছেন, শ্রীনিবাস বিভি গত ছয় মাস ধরে তাঁর সঙ্গে যৌনসুলভ আচরণ করছেন, তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করে আসছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ‘তিনি আমার হাত ধরে টানা-হ্যাঁচড়া করেছেন, অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেন, প্রতিবাদ করলে আমাকে হুমকি দেন। ঘটনাবলি সম্পর্কে তাঁর (শ্রীনিবাস) বিরুদ্ধে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের কাছে অভিযোগ করলে তিনি তাঁর ক্যারিয়ার নষ্ট করে দেবেন। পরিণতি ভোগ করারও হুমকি দিয়ে আসছেন শ্রীনিবাস বিভি।’ অভিযোগপত্রে লিখেছেন অঙ্কিতা দত্ত।

অঙ্কিতা দত্তের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দিশপুর থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৯/২৯৪/৩৪১/৩৫২/৩৫৪/৩৫৪-এ (iv)/৫০৬ এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৭ ধারায় ৬৯২/২০২৩ নম্বরে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি শ্রীনিবাস বিভিকে গ্রেফতার করতে গত ২২ এপ্রিল কর্ণাটক গিয়েছিল অসম পুলিশের চার কর্মকর্তার একটি দল। তাঁর বাড়িতে তাঁকে না পেয়ে গুয়াহাটি এসে দিশপুর থানায় হাজিরা দিতে নোটিশ সেঁটে এসেছিল অসম পুলিশের দল।

ওই নোটিশ এবং অঙ্কিতা দত্তের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে হাইকোর্টে অগ্রিম জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন শ্রীনিবাস বিভি। কিন্তু হাইকোর্টে অগ্রিম জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি চলে যান সুপ্রিম কোর্টে। দুদিন আগে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর অগ্রিম জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছে। অগ্রিম জামিন পেয়ে আজ তিনি গুয়াহাটি এসেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *