করিমগঞ্জ (অসম), ১০ মে (হি.স.) : আসন্ন মরশুমে ম্যালেরিয়া ও জাপানিজ এনসেফালাইটিস বা জেই প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে করিমগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল সেল জেলার আন্তঃরাজ্য ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত গ্রামে কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই অধীনে পাথারকান্দি ব্লকের কুর্তিকুচি গ্রামে এ ধরনের একটি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে মুখ্য চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিডি) ডা. রঞ্জিত বৈদ্য জানান, বেশিরভাগ ম্যালেরিয়া এবং জেই-র ক্ষেত্রে আক্রান্তরা প্রতিবেশী রাজ্যে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং করিমগঞ্জ জেলার গ্রামগুলিতে আশ্রয় নেয়। যার ফলে এটি গোষ্ঠী সংক্রমণে বিস্তার লাভ করে। তাই, নজরদারি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও জ্বর হলে, স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। এতে আশা, নজরদারি কর্মী এবং এমপিডব্লিউরা রক্তের স্লাইডগুলি পরীক্ষাগারে পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করছেন। অনুষ্ঠানে এনভিবিডিসিপি কনসালট্যান্ট দেবজিৎ দে জানান, জেলায় মশারি ঔষুধিকরণ চলছে।
তিনি বলেন, মশার কামড় থেকে নিরাপদে থাকার জন্য মানুষের ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা উচিত। জেলা এপিডেমিওলজিস্ট সুমিত রায় বলেন, এ ধরনের কোনও মহামারি প্রতিরোধের জন্য আইডিএসপিতে সময়মতো জ্বরের কেইসগুলি রিপোর্ট করা বাধ্যতামূলক। তিনি যে কোনও উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে তাকে ৮৮৭৬৯৫১৮৫৩ নম্বরে জানাতে বলেন। এদিনের কর্মসূচিতে এনভিবিডিসিপি সেল এবং আশা-র ব্লক স্তরের কর্মীরাও অংশ নেন।