BRAKING NEWS

Protest:পুলিশ লকআপে ব্যক্তির মৃত্যু ,দফায় দফায় বিক্ষোভ গঙ্গাজলঘাঁটিতে

বাঁকুড়া, ১৭সেপ্টেম্বর (হি. স.) : পুলিশি হেফাজতে থাকা এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি থানা চত্বরে দফায় দফায় বিক্ষোভে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। এদিন সকাল থেকে দফায় দফায় এই বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। ঘটনার খবর পেয়ে সকালেই গঙ্গাজলঘাটি থানায় আসেন বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিবেক ভার্মা। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি থানার ভিতর পুলিশের হেফাজতে কি করে গলায় দড়ি নিতে পারেন কোনও ব্যাক্তি । মৃতের পরিবারের অভিযোগ থানা লকআপে তাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এর সঠিক তদন্তের দাবি তুলে দোষী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন মৃতের পরিবার। পুলিশ জানায় ধৃত ব্যাক্তি আত্মহত্যা করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম অমৃত বাউরি (৪৫) । বাড়ি স্থানীয় গোবিন্দধাম গ্রামে । মৃতের ভাইপো সঞ্জয় বাউরি জানান, বৃহস্পতিবার কাকাকে বাঁকুড়া – দুর্গাপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের বড়জুড়ি মোড় থেকে তুলে নিয়ে আসে। সে খবর আমরা জানতাম না। শুক্রবার মাঝরাতে পুলিশ গ্রামে গিয়ে কাকীমাকে থানায় তুলে নিয়ে আসে। আমরাও আসি। তখনও আমাদেরকে কাকার মৃত্যুর কথা জানানো হয়নি। তার দাবি, পুলিশ কাকীমাকে বলে, অমৃতকে কোর্টে চালান করা হবে। কয়েকটি কাগজে সই করে দাও। এরপর কাকীমাকে দিয়ে ৫ টি সাদা কাগজে টিপ ছাপ দেওয়া করায়। এর কিছুক্ষণ পর কাকা বাথরুমে গিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানানো হয়। সঞ্জয় বাউরি দাবি করেন কাকা আত্মহত্যা করতে পারেনা। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, বৃহস্পতিবার তুলে আনার পর শুক্রবার তো কোর্টে তোলার কথা। কিন্তু তা না করে শুক্রবারও থানার হেফাজতে কেন রাখা হল? বাথরুমে একা একা যেতে দেওয়া হল কেন? বাথরুমে দড়ি কি করে এলো? সঠিক তদন্ত হলে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে বলে জানান তিনি। মৃতের বৌদি বলেন পাড়ারই এক বৃদ্ধা মদ খেয়ে বিবস্ত্র হয়ে যেখানে সেখানে পড়ে থাকে। আমার দেওরের নামে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে পুলিশ তুলে নিয়ে এসেছিল। অভিযোগ মিথ্যা ছিল বলে তার দাবি। এই ঘটনার বিচার চাই বলে সকলেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
পরশুদিন অমৃত বাউরিকে মদ্যপ অবস্থায় অসংলগ্ন আচরণ করতে দেখে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিবেক ভার্মা। তিনি বলেন, আমি থানায় এসে সিসিটিভি ফুটেজ দেখলাম। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, অভিযুক্ত বাথরুমে যাচ্ছে। অনেকক্ষণ বেরিয়ে না আসায় একজন পুলিশ কর্মী সেখানে গিয়ে দেখেন সে জানালার রডে দড়ি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার প্রকৃত তদন্ত হচ্ছে। বিষয়টি মানবাধিকার কমিশন, সিআইডি, জেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় জানানো হবে। এদিনই মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *