দুর্গাপুর, ৮ সেপ্টম্বর (হি.স.): বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াওয়ের লক্ষ্যে গোটা দেশকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে সরকার। তখন কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার অপরাধে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক ও নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে, দুর্গাপুর ধোবিঘাট এলাকায়। বৃহস্পতিবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর চড়াও হল। গৃহবধূ’র শ্বাশুড়ি সোমা নায়েক’কে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেয়।
গৃহবধূর বাপের বাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম প্রথমা নায়েক। বয়স ২০ বছর। অণ্ডালের দুপচুরিয়ায় বাপের বাড়ী। গত ২০১৯ ডিসেম্বর মাসে প্রথমার বিয়ে হয় দুর্গাপুরের ধোবিঘাট এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ নায়কের সঙ্গে। স্বামী বিশ্বজিৎ নায়েক একটি বেসরকারি সিমেন্ট কারখানায় কর্মরত। বিয়ের পর থেকেই টাকা পয়সার জন্য প্রথমাকে চাপ দিত স্বামী বিশ্বজিৎ নায়েক, শশুর দিলীপ নায়েক ও শাশুড়ি সোমা নায়েক বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে মৃতার স্বামী বিশ্বজিৎ নায়েক তার প্রথমার বাবা কাশীনাথ বিশ্বাসকে ফোন করে জানায় প্রথমা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তড়িঘড়ি তাকে দুর্গাপুর ডিএসপি মেন হসপিটালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। যদিও পরিকল্পনা করেই প্রথমাকে খুন করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এমনটাই পরিবারের অভিযোগ। ঘটনায় এদিন বিকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা চড়াও হয় মৃতার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের ওপর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এবং পরিস্থিতি সামাল দেয়। মৃতার বাপের বাড়ির তরফ থেকে দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে। দুর্গাপুর থানার পুলিশ মৃতার স্বামী ও শশুরকে আটক করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।