নয়াদিল্লি, ১৯ জুন (হি.স.): ভবিষ্যতে দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রযুক্তির উপরে নির্ভর করেই এগোতে হবে, এমনটাই জানালেন ভারতীয় সেনা বিষয়ক দফতরের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘‘প্রযুক্তির ব্যাপারে তরুণ প্রজন্ম অনেক বেশি সড়গড়। সে কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
অগ্নিপথ নিয়োগ প্রকল্পের স্বপক্ষে রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী— পদাতিক, বায়ুসেনা এবং নৌসেনার শীর্ষকর্তারা। লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠী, এয়ার মার্শাল এসকে ঝা। অনিল পুরী বলেন, ‘‘আমরা বাহিনীতে তারুণ্য চেয়েছিলাম। সেনাবাহিনীতে ‘যোশ’ আর ‘হোশ’ (অর্থাৎ জেদ আর সচেতনতার)-এর যৌথ প্রকাশ চেয়েছিলাম। তাই সব দিক মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ১৭,৬০০ জন প্রতি বছর তিনটি পরিষেবা থেকে সময়ের আগেই অবসর নিচ্ছেন। অবসর নেওয়ার পর তারা কী করবেন তা কেউ কখনও জিজ্ঞাসা করার চেষ্টা করেনি। এই সংস্কার দীর্ঘদিন ধরেই ঝুলে ছিল। আমরা এই সংস্কারের মাধ্যমে তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতা আনতে চাই। বর্তমানে প্রচুর সংখ্যক জওয়ান তাদের ৩০-এর দশকে এবং অফিসাররা অতীতের তুলনায় অনেক পরে কমান্ড পাচ্ছেন।”
অনিল পুরী আরও বলেছেন, ‘অগ্নিবীর’রা সিয়াচেন এবং অন্যান্য এলাকায় একই ভাতা পাবে যা বর্তমানে নিয়মিত সৈন্যদের জন্য প্রযোজ্য। চাকরির শর্তে তাঁদের প্রতি কোনও বৈষম্য নেই। দেশের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করলেন ‘অগ্নিবীর’ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। অদূর ভবিষ্যতে আমাদের ‘অগ্নিবীর’ গ্রহণের পরিমাণ ১.২৫ লক্ষে উন্নীত হবে এবং ৪৬ হাজারে থাকবে না যা বর্তমান চিত্র।