নয়াদিল্লি, ২৭ এপ্রিল (হি.স.): করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার দুপুর বারোটা নাগাদ ভার্চুয়ালি দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই করোনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, করোনার বিপদ এখনও কেটে যায়নি। মোদী বলেন, ওমিক্রন এবং এর নয়া রূপগুলি ইউরোপে কি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করেছে তা সারা বিশ্ব দেখেছে। ভারতে তুলনামূলক ভাবে পরিস্থিতি সামলে নিলেও কিছু কিছু রাজ্যে করোনার সংক্রমণ আবার বাড়ছে। তাই নতুন করে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “বিগত ২ বছরে করোনা নিয়ে এটি আমাদের ২৪ তম বৈঠক। করোনার সময় কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলি যেভাবে একসঙ্গে কাজ করেছে, তা করোনার বিরুদ্ধে দেশের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের দেশে দীর্ঘ সময় পর স্কুল খুলেছে, করোনার সংক্ৰমণ নতুন করে বাড়তে থাকায় পরিজনরা চিন্তিত। কিন্তু, আনন্দের বিষয় হল অধিকাংশ বাচ্চারাই ভ্যাকসিনের কবচ পেয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, “যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত যোগ্য শিশুদের টিকা দেওয়া আমাদের অগ্রাধিকার। এ জন্য আগের মতোই স্কুলগুলিতে বিশেষ অভিযান চালাতে হবে। এ বিষয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে, আমাদেরও তা নিশ্চিত করতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমাদের বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা ক্রমাগত জাতীয় ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তাঁদের পরামর্শ নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে প্রি-এমপটিভ, প্রো-অ্যাকটিভ এবং সম্মিলিত পন্থা নিয়ে। শুধুতে সংক্রমণ রুখে দেওয়া আগেও আমাদের অগ্রাধিকার ছিল, এখনও তাই রয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, “ভারতের ৯৬ শতাংশ বয়স্ক মানুষদের করোনার প্রথম টিকা দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে টিকাই করোনা প্রতিরোধের এক মাত্র উপায়।” এদিনের বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও উপস্থিত ছিলেন।