BRAKING NEWS

উন্মত্ত ব্যক্তির তান্ডবে আহত ছয়

খোয়াই, ২৩ ডিসেম্বর : রামচন্দ্রঘাটের শেওরাতলীর ঘটনার পুণরাবৃত্তি হয়েছে রাজ্যে। পূর্বগণকীতে উন্মত্ত ব্যাক্তির তান্ডবে আহত হয়েছেন ছয় গ্রামবাসী। সম্প্রীতি উত্তর রামচন্দ্রঘাটের শেওরাতলী গ্রামের সংঘটিত পাঁচ জন ব্যক্তির খুনের ঘটনা স্মরণ করে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন গ্রামের মানুষ। শেওড়াতলীর প্রদীপ দেব রায়ের ছায়া পূর্বগণনকির গ্রামবাসী ধনঞ্জয় দেবনাথের মধ্যে দেখতে পেয়েছেন স্থানীয় জনগণ, এমনটাই দাবি।


খোয়াই থানাধীন পূর্বগণকী গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নং ওয়ার্ডের ভূমিহীন কলোনীতে উন্মত্ত ব্যক্তি ধনঞ্জয় দেবনাথের (৫০) অতর্কিত হামলায় ছয় জন আহত হয়েছেন। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, পঞ্চায়েত সদস্য পৃথ্বীশ বর্ধনের বাড়ীতে শোনা যায় চীৎকার চেচামেচি শুনতে পেয়ে এলাকাবাসী হতবাক হয়ে পড়েন। কারণ গ্রামেরই ধনঞ্জয় দেবনাথ(৫০) পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে লাঠি হাতে চড়াও হয়ে তার ঘরে ভাঙচুর শুরু করেন। হামলার ভয়ে পঞ্চায়েত সদস্য পরিবারের অন্যান্যদের নিয়ে ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে কোনরকমে পালিয়ে যান।


উন্মত্ত ধনঞ্জয় দেবনাথ পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় গিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। এরই মাঝে গন্ডগোলের খবর পেয়ে খোঁজ নিতে আসা নিরীহ মানুষকে কাঠ দিয়ে অতর্কিত ভাবে মারধোর করেন ধনন্জয়। তাতে আহত হন বকুল দেবনাথ (৩৯), রত্না দেবনাথ(৩৫), মনোজিৎ দেবনাথ (১৭), হরেন্দ্র দেবনাথ(৫৬), ফুলন দেব (৬৫) ও গৌরমোহন দেবনাথ(৭০)। রত্না দেবনাথ, হরেন্দ্র দেবনাথ ও ফুলন দেবের মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন।


এদিকে, গ্রামের মানুষ কোনরকমে তাঁকে পাকড়াও করে হাতে পায়ে বেঁধে ফেলেন। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩২৫/৩২৭/ ৩০৭/৪৪৮ধারায় মামলা নিয়েছে পুলিশ। ধনঞ্জয় দেবনাথের আক্রমণে আহতদের জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে আঘাত বেশী হওয়ায় রত্না দেবনাথকে ভর্তি করে বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।


এখন প্রশ্ন উঠেছে, কেন ধনন্জয় দেবনাথ এই উন্মত্ত আচরণ করলেন। পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ীতেই বা কেন হামলা করলেন। গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্ত্রীর সাথে ধনঞ্জয়ের দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মারামারিও হতো। ওই ঘটনার পেছনে কি রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, পুলিশ খোজার চেষ্টা করছে। কারণ, পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় বিচার চেয়ে ধনঞ্জয় চিত্কার করছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *