লখনউ, ১ অক্টোবর (হি.স.): একেবারে বিরল দৃশ্য! হাথরাস যাওয়ার পথে শারীরিক নিগ্রহের শিকার হলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। অভিযুক্ত উত্তর প্রদেশ পুলিশ। ধস্তাধস্তি, গলায় ধাক্কা, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ধাক্কায় একসময় মাটিতেও পড়ে যান সোনিয়া-তনয়। পরে নির্দেশ লঙ্ঘনের দায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় গ্রেফতার করা হয় রাহুল গান্ধীকে। রাহুল, প্রিয়াঙ্কা-সহ কংগ্রেস নেতা-নেত্রীদের প্রতিনিধি দলের একটি কনভয় হাথরাসের পথে রওনা হয়। মাঝপথে তাদের প্রথমে আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু নাছোড় রাহুল-প্রিয়াঙ্কাও। তাঁরা স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হেঁটেই রওনা দেন হাথরাসের দিকে। রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ছিলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীও। হাথরাস যাওয়ার পথে যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে রাহুলদের আটকে দেয় উত্তর প্রদেশ পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয়। রাহুলকে ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মাটিতে পড়ে যান কংগ্রেস সাংসদ। রাহুল পুলিশকে প্রশ্ন করেন, ‘আমি একই হাথরাস যেতে চাই। কোন ধারায় আমাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে একটু জানাবেন?’ পুলিশ জানায়, ‘নির্দেশ লঙ্ঘনের দায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায়।’
রাহুল-প্রিয়াঙ্কা ঘোষণা করেছিলেন হাথরাসে যাওয়ার কথা, ১৯ বছর বয়সী গণ-ধর্ষিতা তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। বৃহস্পতিবার ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্বেও কর্মসূচি বাতিল করেননি কংগ্রেস নেতা-নেত্রীরা। রাহুল-প্রিয়ঙ্কার কনভয় গ্রেটার নয়ডায় আসতেই আটকে দেওয়া হয়। নয়ডার এডিসিপি রণবিজয় সিং জানান, তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে। কোনও মতেই আগেই যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। ফলে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে হাঁটা শুরু করেন রাহুল, প্রিয়াঙ্কা-সহ কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। রাহুল, প্রিয়াঙ্কাকে যেখানে আটকানো হয়, সেখান থেকে হাথরাসের দূরত্ব প্রায় ১৪০ কিলোমিটার। সেখান থেকে কিছু দূরে এগনোর পরেই রাহুল-প্রিয়াঙ্কাদের আটকায় পুলিশ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। রাহুলকে গলাধাক্কা দিতেও দেখা যায় পুলিশকে। পরে গ্রেফতার করা হয় কংগ্রেস সাংসদকে। রাহুল গান্ধী জানান, ‘পুলিশ আমাকে ধাক্কা দিয়েছে। লাঠিচার্জ করেছে এবং ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিয়েছে। আমি জানতে চাই, শধুমাত্র মোদীজির কী এই দেশে অবাধ বিচরণ? আমাদের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা হেঁটেই যাচ্ছিলাম।