নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ জুলাই৷৷ সুশিক্ষা এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ণ দেখিয়ে ত্রিপুরা ও মিজোরাম থেকে ১০টি শিশুকে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের একটি আশ্রমে৷ ওই অপরাধে মুজফফরনগর গৌড়ীয় মঠের মহন্ত স্বামী ভক্তিভূষণ গোবিন্দ মহারাজ এবং তাঁর সহযোগী মোহন দাসকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে৷ তাঁদের বিরুদ্ধে ভোপা থানায় ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৭৭, ৫০৪ এবং দ্য প্রটেকশন অব চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস অ্যাক্ট বা পোক্সো আইনের ধারায় মামলা হয়েছে৷ এ-বিষয়ে টিসিপিসিআর চেয়ারম্যান নীলিমা ঘোষ বলেন, সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া মিটিয়ে ত্রিপুরা ও মিজোরামের ১০টি শিশুকে ফিরিয়ে আনা হবে৷
প্রসঙ্গত, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত সহজসরল মানুষদের ঠকিয়ে তাঁদের সন্তানদের নিয়ে ঘৃণ্য কাজ করা হচ্ছে৷ শারীরিক অত্যাচারের সাথে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে৷ উত্তরপ্রদেশের মোজফফরনগরে এমনই নিন্দনীয় ঘটনায় ধর্মগুরু জড়িয়ে পড়েছেন৷ এনসিপিসিআর উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা এবং মিজোরাম সরকারকে আশ্রমে উদ্ধারকৃত ১০টি শিশুকে সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছে৷
এ-বিষয়ে টিসিপিসিআর চেয়ারম্যান নীলিমা ঘোষ বলেন, ত্রিপুরা থেকে চার এবং মিজোরাম থেকে ছয়টি শিশুকে উত্তরপ্রদেশে ভালো শিক্ষার ব্যবস্থা করে দেওয়ার স্বপ্ণ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ মুজফফরনগরে অবস্থিত গৌড়ীয় মঠে মহন্ত তাদের শারীরিক এবং যৌন নির্যাতন করেছেন৷ সিডব্লিউসি-র সহায়তায় ওই নাবালকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷ তাদের এখন একটি সরকারি হোমে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে৷ ঘোষ বলেন, এনসিপিসিআর এ-বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে৷ ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা ও মিজোরামের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে ওই দশ নাবালককে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে৷
তিনি বলেন, ত্রিপুরার চার নাবালকের বাড়ি কাঞ্চনপুর৷ ভিডিও কনফারেন্সের আলোচনায় একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ এখনও চার্জশিট জমা দেয়নি৷