চোরাইবাড়ি (অসম), ১৩ মার্চ (হি.স.) : ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে পরাবর্তিত হয়ে সনাতন ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন সন্তান-সন্ততি, পত্নী ও স্বামী-সহ একই পরিবারের পাঁচ সদস্য৷ ঘটনা অসমের করিমগঞ্জ জেলা সীমান্ত ঘেঁষা উত্তর ত্রিপুরার চোরাইবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নম্বর ওয়ার্ডের৷ শুক্রবার সনাতন ধর্মের নানা বিধি উপাচার, যাগযজ্ঞের মাধ্যমে তাঁদের শুচিশুদ্ধ করিয়ে হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত করিয়েছেন ভারত সেবাশ্রমের সন্ন্যাসী ব্রহ্মচারী এবং বিশ্বহিন্দু পরিষদের কার্যকর্তারা৷
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দশ বছর আগে এলাকার ইসলাম ধর্মাবলম্বী এক েেময়েকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়ির চাপে স্বধর্ম (হিন্দু) ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিলেন এলাকারই বছর ৪৬-এর জনৈক মৃণালকান্তি চৌধুরী৷ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তাঁর নাম হয় ইকবাল হুসেন৷ আজ দশ বছরের মাথায় স্বধর্মের টানে বাড়িতে যাগযজ্ঞানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুই ছেলে ও এক মেয়ে, পত্নী-সহ স্বপরিবারে ফের হিন্দু ধর্মে ফিরে এসেছেন ইকবাল তথা মৃণালকান্তি৷
পরাবর্তিত মৃণাল জানান, বিয়ের পর থেকেই তাঁকে বাধ্য হয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকদের চাপে এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বলপূর্বক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হয়েছিল৷ তখন তিনি একটি পাথর কোয়ারির মালিক ছিলেন৷ মোটামুটি ভালোই স্বচ্ছল ছিলেন৷ কিন্তু বিয়ের পর নানা কারণে তিনি নিঃস্ব হয়ে যান৷ তখন থেকে তিনি স্বধর্মে ফিরে আসতে বিভিন্ন সাধুসন্ত ও পণ্ডিতদের শরণাপন্ন হয়ে সাহায্য কামনা করতে থাকেন৷ এ ব্যাপারে তাঁকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় বিশ্বহিন্দু পরিষদ৷ বিশ্বহিন্দু পরিষদের সহযোগিতায় এবং ভারত সেবাশ্রমের হাত ধরে আজ আবার তিনি স্বপরিবারে হিন্দুধর্মে ফিরে আসতে পেরেছেন৷
আজ থেকে তিনি ফের মৃণালকান্তি চৌধুরী নামে পরিচিতি লাভের পাশাপাশি তাঁর ইসলামধর্মী স্ত্রীর নাম বদল করে মৃণালিনী চৌধুরী রাখা হয়েছে৷ তাঁদের দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানকেও বৈদিক ক্রিয়া ও যজ্ঞাদির মাধ্যমে হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত করা হয়েছে৷ যজ্ঞাদির পর মৃণালকান্তি সনাতনি রীতি অনুযায়ী নিজের পত্নীর সিঁথিতে সিঁদূর ও হাতে শাঁখা পরিয়ে দেন৷