লখনউ, ২৭ ডিসেম্বর (হি.স.): ঠিক এক সপ্তাহ আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল উত্তর প্রদেশ| বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল লখনউ, বারাণসী, মেরঠ-সহ উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জেলায়| গত সপ্তাহের হিংসার কথা মাথায় রেখে, শুক্রবার অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে উত্তর প্রদেশ প্রশাসন| রাজ্যের ২১টি জেলায় বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা| স্পর্শকাতর এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে| ড্রোনের সাহায্যেও চলছে নজরদারি|
উত্তর প্রদেশ প্রশাসন সূত্রের, লখনউ, ফিরোজাবাদ, কানপুর, সীতাপুর, মেরঠ, গাজিয়াবাদ, বিজনৌর, মুজফফরনগর, বুলন্দশহর, আগ্রা, আলিগড়-সহ রাজ্যের ২১টি জেলায় বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা| শুক্রবার উত্তর প্রদেশের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (ডিজিপি) ও পি সিং জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে| রাজ্যের ২১টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি হলেই ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করে দেওয়া হয়েছে| ডিজিপি আরও জানিয়েছেন, হিংসায় মদতদাতাদের কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না| শুধুমাত্র সেই কারণেই রাজনৈতিক দল-সহ বিভিন্ন সংগঠনের সক্রিয় সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে|
উত্তর প্রদেশ ছাড়াও গত সপ্তাহে সিএএ-বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজধানী দিল্লিও| হিংসার কথা মাথায় রেখে সজাগ রয়েছে দিল্লি প্রশাসনও| দিল্লি পুলিশের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (পিআরও) এম এস ধান্ধওয়া জানিয়েছেন, ‘যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে দিল্লি পুলিশ| সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেশ কিছু এলাকায় বহু কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে| গুজব যাতে না ছড়িয়ে পড়ে, সে জন্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটেও নজর রাখা হচ্ছে|’