নিউইয়র্ক, ১৫ ডিসেম্বর (হি.স.) : ইমরান খানের আমলে পাকিস্তানের ধর্মীয় স্বাধীনতার অবনতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রসঙ্ঘ।
চলতি মাসে রাষ্ট্রসঙ্ঘের কমিশন অন দি স্ট্যাটাস অফ ওম্যানের তরফে ৪৭ পাতার পাকিস্তানের ধর্মীয় স্বাধীনতা শীর্ষক রিপোর্টে সে দেশে সংখ্যালঘু হিন্দু ও খ্রিষ্টানদের ভয়াবহ পরিস্থিতি কথা তুলে ধরা হয়েছে।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের আর্থিক এবং সামাজিক পরিষদের অন্তর্ভুক্ত এই কমিশন নিজেদের রিপোর্টে দাবি করেছে যে আহমেদিয়ার উপর হামলা তীব্র থেকে তীব্রতর করেছে সে দেশের মৌলবাদী সংগঠনগুলি। খ্রিষ্টান এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলাদের অবস্থা খুবই বিপদজনক। প্রতি বছর কয়েক শো মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করে মুসলমান পুরুষদের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। হুমকি এবং নির্যাতনের মাঝে পড়ে নির্যাতিতার আর সমাজের মূলস্রোত বা ফেলে আসা পরিবারে ফিরে আসতে পারে না।
এই ক্ষেত্রে পুলিশ এবং বিচার ব্যবস্থা খুবই উদাসীন এবং দ্বিচারিতায় পূর্ণ। সে দেশে পঞ্জাব এবং সিন্ধ প্রদেশে এই ধরণের অপরাধের বাড়বাড়ন্ত খুবই বেশি। নির্যাতিতাদের মধ্যে বেশির ভাগের বয়স ১৮-র নীচে। এমনকি সংখ্যালঘু শিশুদের উপরও শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন ক্রমাগত ভাবে বেড়ে চলেছে। স্কুলের মধ্যে সহপাঠী এবং শিক্ষকরা ধর্মের নামে সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের কটূক্তি সহ একাধিক শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। পাকিস্তানের একটি আইনের কথা উল্লেখ করে এই রিপোর্টে বলা হয়েছে সে দেশে ইসলামকে অপমান করলেই তা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। এই আইনের একাধিকবার অপপ্রয়োগ হয়েছে। যার ফল ভোগ করতে হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের।