BRAKING NEWS

ধর্মনগর-কৈলাসহর সড়কের বেহাল অবস্থা, সংস্কারের উদ্যোগ নেই

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ২১ অক্টোবর৷৷ বেহাল দশায় পরিণত ধর্মনগর থেকে কৈলাশহর সংযোগি সড়কটি৷ দীর্ঘ ২ বছর যাবত জরাজীর্ণতায় মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে ধর্মনগর কৈলাশহর দ্ম.ন্দ্র.ত্ম. সড়কটি৷যানচালক থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ ও যাত্রীদের একটাই দাবি অতিসত্বর যেন এই সড়কটি মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করা হয়৷গত বাম জমানা থেকে উত্তর জেলার ধর্মনগর থেকে ঊনকোটি জেলার কৈলাশহর সংযোগী দ্ম.ন্দ্র.ত্ম. সড়কটির বেহাল দশায় পরিণত হয়েছিল৷ তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ততম সড়কটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি৷

মূলত ধর্মনগর থেকে কৈলাশহর সড়কটি প্রায় ২৮ কিলোমিটার৷তারমধ্যে ধর্মনগরের হাফলং থেকে কৈলাশহরের ঊনকোটি পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে৷তারই মধ্যে রাজ্যে সরকারের পালাবদল ঘটে৷রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর গুরুত্বপূর্ণ ধর্মনগর কৈলাশহর সড়কটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি৷ সুতরাং ধর্মনগর কৈলাশহর সড়কের প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তায় পুকুর সমতুল্য গর্তে পরিণত হয়েছে৷অনেক যানচালক থেকে শুরু করে যাত্রীরা ভয়ে এই সড়ক দিয়ে চলাফেরা করা বন্ধ করে দিয়েছেন৷রাস্তার বেহাল দশার কারণে অনেক পথদুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে৷বৃষ্টিপাত না হলে কোন ভাবে যান চলাচল কিছুটা করতে পারলেও বৃষ্টিপাত হলে এই ব্যস্ততম সড়ক পুরোটাই বন্ধ হয়ে পড়ে৷জানা গেছে এই সড়কটি উত্তর জেলার ধর্মনগর থেকে ঊনকোটি জেলার কৈলাশহরের বুক চিরে কমলপুর হয়ে আগরতলা গিয়ে মিশেছে৷ সুতরাং বহিঃরাজ্য থেকে আসা যাত্রীবাহী ও পন্যবাহী লড়ি এই পথ দিয়ে যাতায়াত করত৷আজ তা অতীতে পরিণত হয়ে গিয়েছে৷এই সড়কটি পূর্ত দপ্তর আওতাধীন থাকলেও কি অদৃশ্য কারণে দীর্ঘ দিন থেকে সংস্কারের অভাবে আজ যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে তা সকলেরই অজানা৷জান চালক,যাত্রী ও স্থানীয়দের একটাই দাবী রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ও পূর্ত দপ্তর যেন এই সড়কটি দিকে একটু দৃষ্টিপাত করেন এবং এই রাস্তাটি সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করে দেন৷


এদিকে জান চালকরা জানান, এই সড়ক দিয়ে উনারা প্রতিনিয়ত ধর্মনগর থেকে কৈলাশহর এবং কৈলাশহর থেকে ধর্মনগর যাতায়াত করেন৷কেউ কেউ আবার কমলপুর,আগরতলায়ও যাতায়াত করেন৷আর রাস্তার বেহাল দশার কারণে উনাদের গাড়ির যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি দুর্ঘটনা সংগঠিত হচ্ছে,পাশাপাশি থাকছে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকিও৷শুধু তাই নয় এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করলে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়৷ চালকরা আরও জানান,কৈলাশহর থেকে ঊনকোটি পর্যন্তও রাস্তার বেহাল দশা ছিল কিন্তু থাইল্যান্ডের মহারানী ঊনকোটি সফরে আসার কারণে তড়িঘড়ি কৈলাশহর থেকে ঊনকোটি পর্যন্ত পথের একটা অংশ রাস্তার মেরামত করা হলেও ঊনকোটি থেকে ধর্মনগর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ আর মেরামতির ছোঁয়া পাইনি৷চালকরা আরো অভিযোগ করে বলেন,ধর্মনগর কৈলাশহর সড়ক দিয়ে দ্ম.ন্দ্র.ত্ম. দপ্তরের আধিকারিক থেকে শুরু করে অনেক মন্ত্রীরা আসা-যাওয়া করলেও এই পথের বেহাল দশা মেরামতের কোনো উদ্যোগ আজ পর্যন্ত গ্রহন করেননি৷কিন্তু এই রাস্তার জরাজীর্ণতার ফলে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে স্থানীয় জনগণ থেকে শুরু করে যান চালক ও যাত্রীদের৷


অপরদিকে স্থানীয় জনগণ ও যাত্রীদের বক্তব্য,এই পথ দিয়ে বড় গাড়ি থেকে শুরু করে বাইক চলাচল করাও দুষ্কার্য৷গাড়ি বাইকের যেমন নানা যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে চুরমার হচ্ছে তেমনি জীবনেরও ঝুঁকি থাকছে৷ এমনকি ধর্মনগর কৈলাশহর সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য গাড়ি যাতায়াত করে৷তাছাড়া ঊনকোটিতে একটি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে সুতরাং এই সড়কটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও ব্যস্ততম৷দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা এই পথ দিয়ে ঊনকোটি পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করেন৷কিন্তু রাস্তার এই বেহাল দশার ফলে অনেক পর্যটকরা ঊনকোটি পর্যটন কেন্দ্রে আসতে দ্বিধা বোধ করছেন৷সুতরাং যান চালকদের যেমনটা ক্ষতি হচ্ছে পাশাপাশি রাজ্য সরকারের রাজস্বও মার খাচ্ছে৷তাই এই সড়কটির দিকে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিপাত করা অত্যন্ত প্রয়োজন৷ তাই যান চালক থেকে শুরু করে স্থানীয় জনগণ ও যাত্রীরা ধর্মনগর কৈলাশহর সড়কটি মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করার জন্য রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *