নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ অক্টোবর ৷৷ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা সরকারি কর্মচারী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলনে শামিল হচ্ছে আগামী ৪ঠা নভেম্বর তারা দেশব্যাপী ধর্না আন্দোলন কর্মসূচিতে শামিল হচ্ছেন৷ ত্রিপুরা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সংঘ দেশব্যাপী আন্দোলনে শামিল হচ্ছে৷ রাজ্যের ৮টি জেলাতেই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা ধর্না কর্মসূচিতে শামিল হবেন৷
সোমবার আগরতলায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান, ত্রিপুরা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সংঘের সাধারণ সম্পাদিকা মঞ্জুলা চক্রবর্তী৷
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারী দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি কর্মচারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে৷ ১৯৭৫ সালে আইসিডিএস প্রকল্প চালু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত ৪৪ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে৷ অঙ্গনওয়াড়ি ও সহায়িকারা নিরলসভাবে দায় দায়িত্ব পালন করে চলেছেন৷ কিন্তু তাদেরকে এখনও পর্যন্ত সরকারি কর্মচারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না৷ বর্তমানে অঙ্গন্যয়াড়ি কর্মীরা মাসে ৪৫০০ টাকা এবং সহায়িকারা ২২৫০ টাকা পাচ্ছেন৷ দীর্ঘ লড়াই আন্দোলন করার পরও তাদের বেতন ভাতা বাড়ানো হচ্ছে না৷ সে কারণেই তারা আন্দোলনে শামিল হচ্ছেন৷ ত্রিপুরা অঙ্গনওয়াড়ি সংঘের সাধারণ সম্পাদিকা মঞ্জুলা চক্রবর্তী বলেন, গতবছরও আন্দোলন সংগঠিত করা হয়েছে৷ কিন্তু সরকার তাতে ইতিবাচক কোন সাড়া দেয়নি৷ সে কারণেই তারা আবারও আন্দোলনের পথে পা বাড়িয়েছেন৷ সরকার দাবি না মানলে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷
ত্রিপুরা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সংঘের সাধারণ সম্পাদিকা মঞ্জুলা চক্রবর্তী বলেন, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের সরকারি কর্মচারী হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত যথাক্রমে ১৮ হাজার এবং ৯ হাজার টাকা করে নূ্যনতম মাসিক বেতন প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে৷ দেশের প্রতিটি রাজ্যের প্রতিটি জেলায় গ্রামীণ স্তর পর্যন্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে৷ এইসব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি শিশুদের শারীরিক মানসিক ও শিক্ষার দিক দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে চলেছে৷ প্রসূতি মায়েদেরকেও পরিষেবা দিচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি৷ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার পরও তাদেরকে সরকারি কর্মচারী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান কিংবা বেঁচে থাকার জন্য পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান না করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা৷ এরই বহিঃপ্রকাশে আন্দোলনে শামিল হচ্ছেন তারা৷