নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ অক্টোবর৷৷ শরতের শেষে বাঙালির চোখে জল এনে দিয়েছে পেঁয়াজ৷ তবে এই জল পেঁয়াজের ঝাঁজে নয়, এনেছে দামে৷ গত দু-তিন মাস ধরে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধমুখী হলেও দুর্গোৎসবের পর থেকে হঠাৎ করে তা যেন আকাশ ছুঁয়েছে৷ রাজধানী আগরতলার প্রতিটি বাজারে কেজি প্রতি ৭০ টাকার নীচে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে না৷ এছাড়া কিছু কিছু দোকানে ভালো মানের পেঁয়াজ প্রতি কেজি প্রায় ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷
এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, আগরতলার মহারাজগঞ্জ পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি৷ ফলে তাদেরও বেশি দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে৷ ব্যবসায়ী আরও জানান, পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় তাঁরাও খুশি নন৷ আগে যেখানে মানুষ ২-৩ কেজি পেঁয়াজ কিনতেন, সেখানে এখন তাঁরা ১ কেজি পেঁয়াজ কিনছেন৷ এর ফলে পেঁয়াজের বিক্রি তুলনামূলকভাবে কমার পাশাপাশি তাঁদের লাভের পরিমাণও তলানিতে এসে ঠেকেছে৷
মহারাজগঞ্জ বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আসে মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে৷ সেখানেই পেঁয়াজের দাম এখন খুব চড়া৷ তাঁরা আরও জানান, অগ্রিম টাকা পাঠিয়ে নাসিকের ব্যবসায়ীদের কাছে অর্ডার দেওয়া হলেও সময়মতো তাঁরা পেঁয়াজ সরবরাহ করতে পারছেন না৷ হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম এত বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, উৎপাদনের স্বল্পতাই এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী৷ তাঁদের কথায়, নতুন পেঁয়াজ মাঠ থেকে না আসা পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে পেঁয়াজের মূল্যের ঝাঁজ আরও কিছুদিন সহ্য করতে হবে৷ তবে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে কি না, এ-বিষয়ে এই মুহূর্তে কেউ কিছুই পারছেন না তাঁরা৷
এদিকে, একই অবস্থা অন্যান্য সবজির দামেও৷ ফুলকপি এখন ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে৷ এছাড়া বাঁধাকপি, বরবটি, মিষ্টি কুমড়ো, শশা, লাউ-সহ প্রতিটি সবজি কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে৷ এত কিছুর মধ্যেও আলুর মূল্য কিছুটা কম আছে৷ আগরতলার বাজারে প্রতি কেজি আলু ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷