নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ অক্টোবর৷৷ সীমান্ত ডিঙ্গিয়ে এক যুবককে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে বাংলাদেশ রেপিড অ্যাকশন বাহিনীর (র্যাব) তিন জওয়ানকে উত্তম মধ্যম দিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ ওই ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশের সোর্স দুই মহিলাকেও গ্রামবাসী আটক করে বিএসএফের হাতে তুলে দিয়েছে৷
জনৈক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, আজ বিকেল নাগাদ সিপাহিজলা জেলার অধীন সোনামুড়া মহকুমায় কলমচৌড়া থানাধীন রহিমপুর সীমান্ত এলাকায় ১৬৮নম্বর গেইট ডিঙ্গিয়ে র্যাবের তিন জওয়ান ও দুই সোর্স পার্শবর্তী গ্রামে ঢুকেন৷ সেখানে দুলু মিয়ার ছেলে আবু খাইয়েরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ ওই সময় আবু খাইয়ের চিৎকার শুরু করলে গ্রামবাসীরা ছুটে গিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন৷ তিন র্যাব জওয়ানকে গ্রামবাসীরা প্রচন্ড উত্তমমধ্যম দিয়েছেন৷ ওই গ্রামবাসীর দাবি, তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, দুটি হাতকড়া এবং ৫০ হাজার বাংলাদেশী টাকা উদ্ধার হয়েছে৷ তারা বাংলাদেশের বামনপাড়া থানা থেকে এসেছেন বলে জানা গেছে৷
ওই গ্রামবাসী বলেন, তাদের সাথে দুইজন মহিলাকেও আটক করা হয়েছে৷ তারা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে থাকেন৷ তিনি জানান, বিএসএফের ৭৪নং ব্যাটেলিয়ানের হাতে তাদের তুলে দেওয়া হয়েছে৷ সূত্রের দাবি, নেশাকারবারী সন্দেহে র্যাব জওয়ানরা সোর্স মারফত খবর পেয়ে সীমান্ত ডিঙ্গিয়ে এপারে এসে নেশাকারবারীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন৷ কিন্তু, গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে তারা পালিয়ে যেতে পারেননি৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মাঝে মধ্যেই র্যাব কিংবা বিজিবির জওয়ানরা ত্রিপুরা থেকে নেশাকারবারী ধরপাকড়ের নামে নিরিহ গ্রামবাসীদের তুলে নিয়ে যায়৷ বিনিময়ে মোটা অংকের টাকা দিতে হয় তাদের৷ র্যাবের জওয়ান আটকের ঘটনা নিয়ে বিএসএফের কোন আধিকারিক মন্তব্য করতে রাজি হননি৷