কৈথাল(হরিয়ানা), ৯ অক্টোবর (হি.স.) : ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে কংগ্রেস দেশবিরোধী কাজ করেছে। বুধবার কৈথালের জনসভা থেকে এমনই ভাষায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
এদিন হরিয়ানার কৈথালে আয়োজিত বিজয় সঙ্কল্প জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির প্রসঙ্গে অমিত শাহ জানিয়েছেন, ৭০ বছরে কংগ্রেস যে কাজ করে দেখাতে পারেনি। মোদী সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর সংসদের প্রথম অধিবেশনে করে দেখিয়েছেন। ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি, তিন তালাক বিল, রাফাল সহ সমস্ত বিষয়ে কংগ্রেস বিরোধিতা করেছে। কিন্তু বিজেপি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করে এক দেশ, এক পতাকা এবং এক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্কল্প পূরণ করেছে। বিজেপি একটি দেশে দুই বিধান, দুই প্রধান, দুই পতাকা, দুই সংবিধান সরানোর কাজ করেছে। বিজেপির বিরোধিতা করা কংগ্রেসের পুরনো স্বভাব। দলগত রাজনীতির উপরে উঠতে হবে কংগ্রেসকে। দেশের হিতের জন্য যে কোনও সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো উচিত। মনোহর লাল খট্টরের নেতৃত্বে রাজ্যের ৭০ হাজার চাকরিপ্রার্থী নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পেয়েছে।
কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে অমিত শাহ জানিয়েছেন, আগে জাতপাতের নাম করে চাকরি দেওয়া হত। আগে ঘুষ দিলে চাকরি পাওয়া যেত। এখন এই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। দুর্নীতি এবং সমাজবিরোধীদের বাড়বাড়ন্ত এখন আর নেই। বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও কেন্দ্রীয় প্রকল্প এখানে প্রকৃত অর্থে স্বার্থক হয়ে উঠেছে।প্রধানমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারতের প্রকল্প থেকে উপকৃত হয়েছে দেশের ৫০ কোটি গরিব মানুষ।
মনোহর লাল খট্টরকে ফের জয়যুক্ত করার অনুরোধ করে অমিত শাহ জানিয়েছেন, মনোহর লাল খট্টরের নেতৃত্বে কয়েক কোটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করা হয়েছে। কৈথালের ভেতরে পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। আম্বালা থেকে হিসার পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা বিজেপি সরকার তৈরি করেছে। দেশের জন্য আত্মবলিদান দেওয়া সব থেকে বেশি জওয়ান আসে হরিয়ানা থেকে। কৃষক এবং ছোট দোকানদারদের উন্নতির জন্য কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ৪৭০০ কোটি টাকার ঋণ মকুব করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ক্রীড়া নীতিরও প্রশংসা করেন অমিত শাহ।
এদিন অমিত শাহ আরও দাবি করেন, কংগ্রেসের এক নেতা দাবি করেছেন নরেন্দ্র মোদী সব থেকে বেশি বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সব থেকে বেশি বিদেশ ভ্রমণ করেছেন মনমোহন সিং। সোনিয়া গান্ধীর লিখে দেওয়া বিবৃতি পড়তেন তিনি। কিন্তু এখন বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে নরেন্দ্র মোদী গেলে সবাই সবাই মোদী মোদী বলে জয়ধ্বনি দিতে থাকে। হিন্দি ভাষার অগ্রগতির জন্য কাজ করে গিয়েছে মোদী সরকার।
পাকিস্তানের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, কংগ্রেস আমলে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালালে ভারত গোটা বিশ্বের কাছে বারেবারে বলত পাকিস্তান হামলা চালিয়েছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে।