নয়াদিল্লি, ৪ অক্টোবর (হি.স.) : ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় মহা সমস্যায় বাংলাদেশ | নয়াদিল্লিতে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া ইকনমিক সামিটে’ যোগ দিতে এসে শুক্রবার নিজেই একথা বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন খানিক কটাক্ষের সুরেই বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “জানি না কেন আপনারা পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছেন, আমরা মহা সমস্যায় পড়ে গিয়েছি।
বাজারে পেঁয়াজের অগ্নিমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে বিদেশে পেঁয়াজের রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড। গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ রেখেছ ভারত। ফলে ভারত থেকে বাংলাদেশে যাচ্ছে না পেঁয়াজ। আর তাতেই সমস্যায় পড়েছেন ওপার বাংলার মানুষ। শুক্রবার যা উঠে এল সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় । এদিন তিনি বলেন, আমি তো রাঁধুনিদের বলেছি রান্নায় যেন একদম পেঁয়াজ না দেয়।” বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এমন কথা শুনে হেসে ওঠেন সামিটে হাজির অনেকেই। হাসিনা আরও বলেন, “হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দেওয়ায় খুবই সমস্যা হচ্ছে। আগে থেকে কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। এ বার থেকে এরম কিছু করলে আগে থেকে জানিয়ে দিলে ভালো হয়।” তবে এর পাশাপাশি পরিস্থিতির যে দ্রুত পরিবর্তন হবে সেই আশ্বাসও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এক মাসে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কিলো দরে। শুধু বাংলাতেই নয়, দেশ জুড়ে পেঁয়াজের দাম মাত্রা ছাড়া। বাংলায় পেঁয়াজ উৎপাদন কম হয়। নাসিক থেকে আনা হয় পেঁয়াজ। অনুমান, অতিবৃষ্টির জেরে নাসিক থেকে সারা দেশেই পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণেই বাড়ছে দাম। পেঁয়াজের চড়া দামের উপর লাগাম টানতে, সরকারের তরফে পরবর্তী কোনও নির্দেশ না আসা পর্যন্ত রফতানি বন্ধ রাখার এই সিদ্ধান্তই বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক।