নয়াদিল্লি, ২ অক্টোবর (হি.স.) : ক্রিকেট অ্যাডভাইসারি কমিটির প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কপিল দেব। বিসিসিআই-এর এথিক্স অফিসার ডি কে জৈন স্বার্থের সংঘাতের নোটিশ কপিল দেবের বিরুদ্ধে জারি করেন। তাঁর জেরে ইস্তফা দিলেন কপিল দেব। ওই কমিটিতে থাকা আরও দুই সদস্য অংশুমান গায়েকওয়াড এবং শান্তা রঙ্গস্বামীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
ভারতের ক্রিকেট নিয়মায়ক সংস্থা বিসিসিআই সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী এক পদে একজন ব্যক্তিই থাকতে পারবেন। সেই কারণেই কপিল দেবের ইস্তফা। বিদায়বেলায় ইস্তফার কারণ হিসেবে কোনও বিষয় উল্লেখ করেননি কপিলদেব। তবে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে ই-মেল মারফৎ তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন তিনি। উল্লেখ্য, অ্যাড-হক কমিটির (অধুনা ক্রিকেট অ্যাডিভাইসরি কমিটি) প্রধান হিসেবে ২০১৯ জুলাইয়ে নিযুক্ত হয়েছিলেন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক।
এরপর মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে ডব্লিউ ভি রমন এবং গত অগাস্টে কোহলিদের কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রীকে পুনর্বহাল করার পিছনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল কপিলদেব নেতৃত্বাধীন সিএসি। কিন্তু সম্প্রতি বোর্ডের একের বেশি পদে আসীন থাকার কারণে কপিলদেব সহ অ্যাডভাইসরি কমিটির বাকি সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সরব হন সঞ্জীব গুপ্তা।
মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার আজীবন সদস্য সঞ্জীব গুপ্তার অভিযোগের ভিত্তিতেই কপিলদেবের পাশাপাশি স্বার্থ সংঘাত ইস্যুতে নোটিশ পৌঁছে যায় শান্তা রঙ্গস্বামী ও অংশুমান গায়কোয়াড়ের কাছে। বোর্ডের এথিক্স অফিসারকে লেখা চিঠিতে সঞ্জীব গুপ্তা জানান ১৯৮৩ বিশ্বজয়ী অধিনায়ক একাধারে একজন ধারাভাষ্যকর, একটি ফ্লাডলাইট কোম্পানির মালিক, ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স আসোসিয়েশনের সদস্য হওয়ার পাশাপাশি বোর্ডের ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদেও আসীন রয়েছেন।