নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ অক্টোবর৷৷ বিশ্ব প্রবীণ দিবস-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে আজ নজরুল কলাক্ষেত্রে রাজ্যভিত্তিক এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়৷ সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা মন্ত্রী সান্তনা চাকমা৷
অনুষ্ঠান উপলক্ষে দপ্তরের পক্ষ থেকে আজ লাইফ টাইম অ্যাচিভম্যান্ট বিভাগে বড়জলাস্থিত আপনাঘর মহিলা ব’দ্ধাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা দিলীপ কুমার পাল, ব্যাভারি এণ্ড কারেজ বিভাগে অবসরপ্রাপ্ত সুুপারভাইজার মিলন দে (দত্ত) এবং ক্রিয়েটিভ আর্ট বিভাগে চুনিলাল দাস ও যমাধন চাকমাকে রাজ্যভিত্তিক বয়োশ্রেষ্ঠ সম্মান প্রদান করা হয়৷ সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা ও অন্যান্য অতিথিগণ তাঁদের হাতে মারক, সম্মাননা পত্র, শাল ও দশ হাজার টাকার চেক তুলে দেন৷
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা মন্ত্রী সান্তনা চাকমা বলেন খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিরপেক্ষভাবে নিশ্চিত করতে পারলে দেশের প্রবীণ সমাজ সবচেয়ে বেশি উপক’ত হবেন৷ বর্তমান কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সেই দিশাতেই কাজ করছে৷
কেন্দ্রীয় ও রাজ্য ঘোষিত বিভিন্ন প্রকল্পগুলির মাধ্যমে প্রবীণদের জন্য অনেক সুুযোগ-সুুবিধা রয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, প্রবীণরা তাদের কর্মজীবনে দেশ, রাজ্য ও সমাজের জন্য কাজ করে গেছেন৷ নবীনদের মনে রাখা উচিত যে তাদের কল্যাণেই আজ তারা মাথা তুলে দাঁড়াতে পেরেছেন৷ সমাজ ও পরিবারে প্রবীণদের প্রাপ্য অধিকার স্থাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন আইন রয়েছে৷ কিন্তু আইন থাকলেই চলে না৷ এরজন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সচেতনও করতে হবে৷
অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণে দপ্তরের অধিকর্তা ঘু’া সনোবার বলেন, প্রবীণদের কাজের অভি’তাকে কাজে লাগিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে৷ নবীন ও প্রবীণের মেলবন্ধনে গড়ে উঠবে নতুন সমাজ ব্যবস্থা৷ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যুগ্ম-অধিকর্তা সুুভাশিষ বন্দোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন৷ অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন পেনশনার্স সংগঠন, ব’দ্ধাশ্রমের আবাসিকগণ উপস্থিত ছিলেন৷