ইসলামাবাদ, ২৭ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : পুলওয়ামায় সিআরপিএফ শহিদ জওয়ানের বদলা নিতে সীমান্ত পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোট, চাকোটি, মুজাফারবাদে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। প্রায় সাড়ে তিনশোও বেশি জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ভারতীয় বায়ুসেনার পালটা মারের পর বুধবার ভোররাত থেকে লাগাতার এলওসি’তে গোলাবর্ষন শুরু করে পাকসেনা। যার পালটা জবাব হিসাবে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি সেনা ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা।
কিন্তু তাও যুদ্ধের উস্কানি দিতে আজ বুধবার সকালে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান। যার মধ্যে একটি পাক যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামায় ভারতীয় সেনা। যদিও এর পালটা হিসাবে দুটি যুদ্ধবিমান ওড়ায় ভারতীয় বায়ুসেনা। যদিও পাকিস্তানের দাবি, একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামানো হয়েছে। এরপরেই দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দেশের ১০ বিমানবন্দরকে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বায়ুসেনাকে সবরকম পরিস্থিতির জন্যে তৈরি থাকতে বলা হয়েছিল। যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধের আশঙ্কায় ভুগছে পাকিস্তান।
এই অবস্থায় সুর নরম করল পাকিস্তান। আলোচনার বার্তা ভারতকে। পাকসেনার মুখপত্র জানান, আমরা ভারতে সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। যুদ্ধ কোনও সমাধান নয় বলেও মন্তব্য পাকসেনার মুখপত্র আসিফ গফুরের। একই সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর জন্যে পাকিস্তানের তরফ থেকে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সামরিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পুকওয়ামা ঘটনার পর থেকেই লাগাতার পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে ভারত। সামরিক দিক থেকে তো বটেই কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও পাকিস্তানের উপর বাড়ছে চাপ। অন্যদিকে, সন্ত্রাদবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানকে একঘরে করার চেষ্টা চালাচ্ছে আমেরিকা সহ সব দেশ। এমনকি চিনও পাশে দাঁড়ায়নি পাকিস্তানের। সেখানে দাঁড়িয়ে যথেষ্ট চাপ বাড়ছে পাকিস্তানের।