মেলবোর্ন, ২৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মেলবোর্নে রানের পাহাড় তৈরি করল ভারত৷ সাত উইকেট হারিয়ে ৪৪৩ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি৷ এটাই চলতি বছরে বিদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ রান ভারতের৷ পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে ৬ ওভার ব্যাট করে ৮ রান তুলেছে অজিরা৷ মেলবোর্নে কোহলিদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর এবার তৃতীয় দিন নতুন বলে ভারতীয় পেসারদের নিয়ে স্বপ্ন দেখছে ক্রিকেটমহল৷
শতরান করে এদিন ভারতের রানের ভিত মজবুত করে দেন মিডল অর্ডারের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান চেতেশ্বর পূজারা৷ ৩১৯ বল খেলে ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০৬ রানের ইনিংস খেলেন সৌরাষ্ট্রের ডানহাতি৷ পূজারার পার্টনার কোহলি অবশ্য এদিন শতরান মাঠে ফেলে এলেন৷
উইকেটের উপর দিয়ে থার্ড ম্যানে ছক্কা হাঁকানোর ঝুঁকি না নিলে পূজারার মতো শতরান হাঁকিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতেন বিরাট কোহলি(৮২ রানে)৷ স্টার্কের বলে ফিঞ্চের হাতে ম্যাচের সহজতম ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ভারত অধিনায়ক৷ কোহলি-পূজারার ১৭০ রানের পার্টনারশিপ ব্যাটিং ইনিংসের ইমারত গড়ে দেয়৷
সেঞ্চুরি হাতছাড়া হলেও মেলবোর্নে অনবদ্য নজির গড়েন কোহলি৷ বক্সিং ডে টেস্টে ৮২ রানের ইনিংস খেলার পথে বিরাট এক ক্যালেন্ডার বর্ষে দেশের বাইরে সব থেকে বেশি রান করা ভারতীয় ক্রিকেটারে পরিণত হন৷ পারথের পর ২০১৮ সালে বিদেশে কোহলির টেস্ট রান ছিল ১০৬৫৷ রেকর্ড ছিল রাহুল দ্রাবিড়ের নামে৷ ২০০২ সালে বিদেশের মাঠে টেস্টে দ্রাবিড় ১১৩৭ রান করেছিলেন৷
ওপেনিং সমস্যা কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি মেলবোর্নে মিডল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতাও কাটিয়ে উঠল ভারত৷ সহ অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে ৩৪ রান করেন৷ ৬৭ রানে অপারাজিত থেকে দলকে চারশো রানের গণ্ডি পার করান কোহলির ওয়ান ডে ডেপুটি রোহিত শর্মা৷ এক বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে অর্ধশতরান হাঁকালেন হিটম্যান৷
শেষবার ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় অর্ধশতরান এসেছিল রোহিতের ব্যাট থেকে৷ ১১৪ বল থেকে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্য এদিন ইনিংস সাজান হিটম্যান৷ রান পেয়েছেন ঋষভ পন্তও৷ ৩৯ রান করে উইকেট উপহার দিয়ে আসেন তরুণ পন্ত৷ দ্বিতীয় দিনের তিন সেশনেই অজি বোলারদের উপর ছড়ি ঘোরালো ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা৷
অন্যদিকে পারথের মতো মেলবোর্নের দ্বিতীয় দিনও অসম বাউন্স ব্যাটম্যানদের সমস্যা ফেলেছে৷ অজি স্পিনার লায়নের ওভারে অসম বাউন্স বুঝতে না পেরে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরে যান রাহানের৷ সহ অধিনায়ক রাহানেই শুধু নয়, এদিন কামিন্সের বল হাঁটুর নীচে এলে পূজারার উইকেট ছিটকে দেয়৷ গতি ও বাউন্সে নিয়ন্ত্রণ এলে শামি-বুমরাহরা তৃতীয় দিন কীরকম বোলিং করেন, সেটাই এখন দেখার৷