কলকাতা, ২ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : রবিবার যুবভারতীতে ডিকা-অ্যাকোস্তার ডুয়েলের মতই ডার্বিতে অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে গুরু-শিষ্যের লড়াই। ‘গুরু’ সুভাষ ভৌমিক বনাম ‘শিষ্য’ শঙ্করলাল চক্রবর্তীর দ্বৈরথ এবারের বড় ম্যাচের বড় আকর্ষণ হতে চলেছে।
একে ছুটির দিন, সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ৷ ভাদ্রের ভ্যাপসা গরমে পারদ নেমেছে কিছুটা৷ কিন্তু উষ্ণতা বাড়ছে বাঙালির প্রিয় বড় ম্যাচকে কেন্দ্র করে৷ ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান দ্বৈরথ৷ একটা সময় এই বড় ম্যাচ ঘিরেই ছিল উন্মাদনা, আবেগ৷ চিংড়ি, ইলিশের দাম নির্ধারিত হত বাঙাল-ঘটির জেতা হারার উপর৷
মোহনবাগানের কোচ থাকাকালীন তরুণ শঙ্করলাল চক্রবর্তীকে তাঁর সহকারি হিসেবে নিয়ে এসেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। সহকারি শঙ্করলাল এখন মোহনবাগানের হেড কোচ। বড় ম্যাচে রবিবারই প্রথমবার মুখোমুখি হতে চলেছেন সুভাষ-শঙ্কর। ৯০ মিনিটের মস্তিষ্কের লড়াইয়ে নামার আগে একে অপরের প্রশংসা করছেন। কয়েকদিন আগেই গুরু-শিষ্যের লড়াই প্রসঙ্গে সুভাষ ভৌমিক তো শঙ্করলালকেই ‘গুরু’ বলেছিলেন।
শনিবার বড় ম্যাচের আগের দিন শঙ্করলাল চক্রবর্তী বলেন, \”আমাদের তো কোনও লড়াই নেই। সে তো মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের লড়াই। ভারতবর্ষের ফুটবলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কোচ সুভাষ ভৌমিক। তাঁর অতীতের সাফল্যেই সে কথা বলে দেয়। উনি যতগুলি ডার্বি কোচিং করিয়েছেন, খেলা তো ছেড়েই দাও, হয়তো আমার তত বয়সই নয়। ওনার অভিজ্ঞতা আমার থেকে তো বেশি হবেই। প্রতিটা স্টেপ আমাকে সাবধান থাকতে হবে।\” গুরু সুভাষ ভৌমিককে যতই সম্মান করুন না কেন, মনস্তাত্বিক লড়াইয়ে কিন্তু ছাড়ছেন না বাগান কোচ। রবিবারের বড় ম্যাচে তাই ‘গুরু’ সুভাষ ভৌমিকের দলকে এগিয়ে রেখেই মাইন্ড গেম শুরু করে দিলেন ‘শিষ্য’ শঙ্করলাল।