নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ আগস্ট৷৷ বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ উদয়পুরের জগন্নাথ দীঘিতে অনুষ্ঠিত হল ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা৷ ৭২তম স্বাধীনতা দিবসল উদযাপন উপলক্ষ্যে গোমতী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়৷ আজ উদয়পুর জগন্নাথ দীঘির উতত্র পাঢ়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পর্যটন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়৷ সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ, বিধায়ক সুভাষ চন্দ্র দাস, বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, গোমতী জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুনীতি সাহা প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নৌকাবাইচ কমিটির চেয়ারম্যান জীতেন্দ্র মজুমদার৷ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, আমরা চাইছি রাজ্যের প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর কৃষ্টি সংসৃকতি সবার সামনে তুলে ধরতে৷ ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী পরম্পরা ও কৃষ্টি সংসৃকতিকে বর্তমান সমাজব্যবস্থার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জঢ়িয়ে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার বিভিন্নভাবে মৎস্যচাষীদের মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জ্য উৎসাহিত করছে৷ এই ধরনের নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা এরই একটি অঙ্গ৷ তিনি বলেন, রাজ্যের বর্তমান মাছের চাহিদা রয়েছে ৯০ হাজার মেট্রিক টন৷ উৎপাদন হচ্ছে ৭০ হাজার মেট্রিক টন৷ বর্তমানে ২০ হাজার মেট্রিক টন মাছের ঘাটতি রয়েছে৷ এই অবস্থায় রাজ্যের বিভিন্ন জলাশয়গুলিতে মৎস্যচাষের উদ্যোগ নিলে এই ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মৎস্যচাষীদের সংসৃকতিকে আরও বিকশিত করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার কাজ করছে৷ এটাই সরকারের লক্ষ্য৷ তিনি বলেন, সংসৃকতির সাথে অর্থনীতির গভীর সম্পর্ক রয়েছে৷ অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পর্যটন মন্ত্রী প্রাণজিৎ সিংহরায় বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জলাশয়গুলি সংস্কার করে আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে৷ অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন নৌকাবাইচ কমিটির চেয়ারম্যান জীতেন্দ্র মজুমদার৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শুরু হয় পুরুষ ও মহিলা বিভাগে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা৷ এই প্রতিযোগিতায় মোট ১৮ টি দল অংশগ্রহণ করে৷ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে অতিথিগণ পুরস্কার বিতরণ করেন৷