হাইলাকান্দি (অসম), ২৮ জুলাই (হি.স.) : তীব্র হইহট্টগোল, চিৎকার-চেঁচামেচির পর মাঝপথে ভণ্ডুল হয়ে যায় হাইলাকান্দি রেডক্রস সোসাইটির সাধারণ সভা। দীর্ঘ নয় বছর পর শনিবার রেডক্রস সোসাইটির এই সভাকে ঘিরে ব্যপক কৌতূহল ছিল। নির্ধারিত সময়ে হাইলাকান্দির রবীন্দ্র ভবনে সাধারণ সভা আরম্ভ হয়।
সভার সভাপতি হাইলাকান্দির অতিরিক্ত জেলাশাসক অমলেন্দু রায় সূচি অনুযায়ী সভার কাজ চালাতে থাকেন। সবকিছু ঠিকঠাক চলার পর সমস্যা দেখা দেয় রেডক্রস সোসাইটির চেয়ারম্যান এবং কার্যকরী কমিটির সদস্য নির্বাচন নিয়ে। চেয়ারম্যান পদে ক্ষিতীশরঞ্জন পাল এবং নীশিকান্ত পালের নাম প্রস্তাব হয়। সভার সভাপতি অমলেন্দু রায় হল-এ উপস্থিত সদস্যদের হাত তোলে সমর্থন জানাতে বলেন। এতে সভায় উপস্থিত অনেকেই হাত তোলে নিজেদের প্রার্থীকে সমর্থন জানান। এর পর একসময় সভার সভাপতি অমলেন্দু রায় সোসাইটির চেয়ারম্যান পদে ক্ষিতীশরঞ্জন পালকে বিজয়ী বলে ঘোষণা করেন। এতে নীশিকান্ত পালের সমর্থকরা ক্ষেপে গিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান।
এভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী এক প্রার্থীকে বিজয়ী বলে সভার সভাপতি ঘোষণা করতে পারেন না বলে তাঁরা সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন। ক্ষুব্ধ সদস্যরা আপত্তি জানিয়ে বলেন ভোটাভুটি হলে ব্যালটের মাধ্যমে হবে, হাত তুলে নয়। নীশিকান্তের সমর্থকরা সভার সভাপতি অমলেন্দু রায়ের বিরুদ্ধে তাঁর এ ধরনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করতে থাকেন। এতে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। চিৎকার-চেঁচামেচি আর হইহট্টগোলে সভাস্থল উত্তপ্ত হয়ে উঠলে নিরাপত্তারক্ষী ডেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এমতাবস্থায় সভার কাজ চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হলে সভার সভাপতি অতিরিক্ত জেলাশাসক অমলেন্দু রায় এদিনের মতো সভা বাতিল করে দেন। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে ফের সভা ডাকা হবে বলে জানান অমলেন্দুবাবু।
এর আগে রেডক্রস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অশোক দত্তগুপ্ত সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পাঠ করেন। সভায় বিগতদিনের আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিল করেন বিজয়কুমার ধর। তাছাড়া সভায় নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন মানব চক্রবর্তী, রুকন বড়ভুইয়াঁ, সামসউদ্দিন বড়লস্কর, শুভংকর ভট্টাচার্য, ড. পরিতোষচন্দ্র দত্ত, আশুতোষ পাল, সুব্রত শর্মামজুমদার।