মস্কো, ১৫ জুলাই (হি.স.) : রবিবার রাতে বিশ্বকাপের মেগা ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি ফ্রান্স৷ বিশ্বকাপের এই মেগা লড়াই কেউই একচুল জমি ছাড়তে নারাজ৷ তবে ১৯৯৮, ২০০৬ দু’বারের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ফ্রান্সের ঝুলিতে৷ এর মধ্যে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদও পেয়েছে ফ্রান্স৷ ক্রোয়েশিয়ার ঝুলিতে বড় সাফল্যের অভিজ্ঞতা বলতে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছেই হার৷ তবে গ্রুপ পর্যায় থেকে সবকটি ম্যাচ জিতে ফাইনালের মঞ্চে পদাপর্ণ করেছে তারা৷ স্বাভাবিকভাবেই অতীত পরিসংখ্যানের দিকে তাকাতে চাইছে না ক্রোয়েশিয়া৷ ফ্রান্সের কাছে লুজনিকির ফাইনাল যদি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর মঞ্চ হয় তাহলে ক্রোটরা বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নামবে ইতিহাস গড়ার লক্ষ্য নিয়ে৷
গ্রুপ পর্ব থেকে সব কটি ম্যাচ অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছেছে ফ্রান্স৷ অনবদ্য ছন্দে রয়েছেন ফ্রান্সের দুই ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে এবং আঁতোয়া গ্রিজম্যান৷ পল পোগবাও মাঝ মাঠের দায়িত্ব শক্ত পায়ে সামলাচ্ছেন৷ লুজনিকি স্টেডিয়াম বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নামার আগে পর্যন্ত ফ্রান্সের দুই ফরোয়ার্ডের গোলসংখ্যা তিন৷ যদিও এমবাপে এবং গ্রিজম্যান দুজনেই গোল্ডেন বুটের লড়াই থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছেন৷
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান দখল করাই ছিল এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার সেরা পারফরম্যান্স৷ সেই স্মরণীয় দিনটিও ছিল ১১ জুলাই৷ কুড়ি বছর পর ১১ জুলাইয়েই বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে শাপমুক্তি ঘটিয়েছে ক্রোয়েশিয়া৷ রবিবার মদ্রিচ, রাকিটিচদের উপর ভর করে বিশ্বজয়ের অাশায় থাকছে ক্রোটরা৷