নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ আগস্ট ৷৷ কেন্দ্রের বর্তমান সরকার চরম দক্ষিণ পন্থী তাই দেশের সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বামপন্থি যুব শক্তিকে এগিয়ে
আসার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার৷ পাশাপাশি তিনি রাজ্য ভাগের চক্রান্তে উস্কানি দিচ্ছে বলে নাম না করে বিজেপিকেই বিঁধেছেন৷ মঙ্গলবার আগরতলায় বামপন্থি ছাত্রযুবদের নতুন ভবনের দ্বারোদঘাটন শেষে আয়োজিত প্রকাশ্য জনসভায় তিনি ভাষণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন৷
মূলত, দেশের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দীর্ঘ বত্তৃণতায় সর্র্বধিক প্রাধান্য দিয়েছেন৷ শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য বেসরকারীকরণের নাগপাশে জড়িয়ে পরেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এদেশে একটি চরম দক্ষিণ পন্থি গরিব, শ্রমিক কৃষক মেহনতি মানুষের বিরোধী শক্তি ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে নিয়েছে৷ ফলে দেশের সাধারণ মানুষের অস্তিত্ব সংকটের মুখে এসে ঠেকেছে৷ তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মেইক ইন ইন্ডিয়া, একটি লোক দেখানো শ্লোগান৷ বিদেশীদের ডেকে এনে দেশের সম্পদ তাদের হাতে তুলে দেওয়া চেষ্টা চলছে৷ স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার দৃষ্টি ঘুরিয়ে নিচ্ছে৷ ফলে সমস্যা বেড়ে গেছে৷ জটিল সমস্যা মধ্যে পড়ে কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষ এই সরকারের পতন চাইছে৷ তিনি বলেন, দেশের ৮ থেকে ১০ শতাংশ জনগণের হাতে সম্পদের নিয়ন্ত্রণের ভার চলে গেছে৷ বাকি সমগ্র অংশের জনগণের জন্য বিস্তর সমস্যা তৈরি হয়েছে৷ তবে এই ৮ থেকে ১০ শতাংশদের পতন ঘটানো খুব কঠিন কাজ নয়৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বহু শূন্য পদ পরে আছে৷ কিন্তু রাজ্যকে চোখ রাঙ্গিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হুমকি দিচ্ছে৷ বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তন না হলে রাজ্য সরকার একক ভাবে বিশেষ কিছু করতে পারে না৷ পৃথক রাজ্যের দাবী নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণ পন্থিদের থাকার কথা বলেন৷ তিনি বলেন, এক সময় স্বাধীন ত্রিপুরা কথা বলা হয়েছে৷ কিন্তু এই দাবী জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে৷ তাই পৃথক রাজ্য দাবী উত্থাপন করা হয়েছে৷ তবে এই ধরনের দাবী অবাস্তব৷ যদিও এর পেছনে গভীর ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র রয়েছে তিনি উল্লেখ করেন, দেশ ধর্মীয় উন্মাদনার সৃষ্টি চেষ্টা চলছে, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে, রাজ্যেও এর প্রভাব পড়ছে কিন্তু চোখের মনির মত এরাজ্যের শান্তি সম্প্রীতিকে রক্ষা করতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন৷