নয়াদিল্লি, ১৪ মে (হি.স.) : নির্বাচন কমিশনকে ভুয়ো হিসেব নিকেশ দেখানো হয়ছে। কালো টাকা সাদা করে দেদার ফূর্তি করেছে আম আদমি পার্টি(আপ)-এর নেতারা। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে এভাবেই ফের সরব হলেন বরখাস্ত হওয়া মন্ত্রী কপিল মিশ্র। কিন্তু, সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীনই আচমকা জ্ঞান হারান অনশনরত এই আপ নেতা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিন ফের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ করেন কপিল মিশ্র । তিনি বলেছেন, ‘আমি সোমবার কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে সিবিআই-কে তথ্য দিয়েছি। অরবিন্দ কেজরীবালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। কেজরিওয়াল যদি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা না দেন, তাহলে তাঁকে গদি থেকে টেনে নামিয়ে কলার ধরে তিহাড় জেলে নিয়ে যাব। চক্ষুলজ্জা থাকলে আজ পদত্যাগ করুন কেজরিওয়ালের। নাহলে জনতার সামনে তাঁর সব কুকর্ম প্রকাশ করে দেব।’ এই অভিযোগ করার পরেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন কপিল।
গত বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেছেন কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত এই মন্ত্রী। দলের পাঁচ নেতার কাছে বিদেশ ভ্রমণের অর্থ কোথা থেকে এল তা সামনে আনার দাবিতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বলে দাবি তাঁর। আজ ছিল তাঁর অনশনের পঞ্চম দিন। সাংবাদিক বৈঠকের শেষ দিকে মিডিয়াকে তাঁর বক্তব্যের স্বপক্ষে কয়েকটি প্রমাণ দেখাতে গিয়েই আচমকা অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। আম আদমি পার্টির এই বিধায়কে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানানো হয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।
তার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কপিল মিশ্র অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে দলের সংগ্রহীত অনুদানের পরিমাণ নিয়ে মিথ্যা তথ্য জমা দিয়েছে আপ। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে আপে-এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৪৫ কোটির বেশি টাকা ছিল। কিন্তু, তখন দল নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিল ন’কোটি টাকা মতো রয়েছে। দলের কর্মী এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা গোপন করে গিয়েছিল তারা।তাঁর দাবি, তিন বছর ধরে ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে আপ-এর তহবিলে কালো টাকা ঢোকানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বা আয়কর বিভাগকে এই টাকার উৎস জানানো হয়নি। কালো টাকা সাদা করার জন্য মোতিনগরের বিধায়ক শিবচরণ গয়ালের নামে ১৬টি ভুয়ো সংস্থা খোলা হয়েছিল। কৃষ্ণনগরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে কালো টাকা জমা দিয়ে সাদা করা হয়েছিল। ভুয়ো সংস্থাগুলি কেজরিওয়ালকে রাত বারোটায় ২ কোটি টাকা দিয়েছিল।