BRAKING NEWS

বরাদ্দ কমিয়ে দিয়ে রাজ্যকে রেগায় বঞ্চিত করা হচ্ছে ঃ মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ মার্চ ৷৷ গ্রামীণ জনগণের জীবিকা নির্বাহ সুনিশ্চিত করতে রেগার ক্ষেত্রে আমরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছি৷ তবুও রেগায় রাজ্যের বরাদ্দ কমিয়ে দিয়ে এবং নিত্য নতুন ব্যবস্থা চালু করে আমাদের বঞ্চনা করা হচ্ছে৷ এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি রাখতে হবে৷ আজ মহাকরণের ২নং কনফারেন্স হলে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের পর্যালোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার৷
পর্যালোচনা সভায় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিব জানান, রাজ্যের ৮ জেলার ৫৮টি ব্লকের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজ কমিটি এলাকায় রেগার কর্মসূচী রূপায়িত হচ্ছে৷ বর্তমান আর্থিক বছরে এই সময় পর্যন্ত ত্রিপুরায় রেগায় গড়ে ৭০ শ্রমদিবসের কাজ হয়েছে৷ বর্তমান আর্থিক বছরের শেষ পর্যন্ত তা আরো বাড়বে বলে তিনি জানান৷
চলতি আর্থিক বছরের যে কয়দিন বাকি রয়েছে এই সময়ের মধ্যে রাজ্যে এম জি এন রেগায় কর্মসংস্থানে শ্রমদিবস আরো বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রী সব জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন৷ সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার রেগার কর্মসূচী রূপায়ণের মাধ্যমে যে সম্পদ সৃষ্ট হয়েছে তার চিহ্ণিতকরণের ক্ষেত্র জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা চালু করেছে৷ এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে রোগর কাজের ক্ষেত্রে জিও ট্যাগিং এর কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা তা জেলা শাসকদের লক্ষ্য রাখতে হবে৷
আবাসন প্রসঙ্গে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিব জানান, এবছর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (গ্রামীণ) ১৭ হাজার ৭৪১টি ঘর পাওয়া গেছে৷ এর মধ্যে ১৭ হাজার ৪৪০ টি ঘর সুবিধাভোগীদের বন্টন করা হয়েছে৷ এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে ৪৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত ১টিও ঘর পায়নি সেখানে রাজ্য সরকারের নিজস্ব ফান্ড থেকে ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে৷ গ্রামীণ এলাকায় ঘর বন্টনের ক্ষেত্রে যদি দেখা যায়, যে সকল গ্রাম পঞ্চায়েত পাঁচের নীচে ঘর পেয়েছে সেখানে ঘরের সংখ্যা একটু বাড়াতে হবে৷ সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের নিজস্ব ফান্ড থেকে ঘর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে৷
স্বচ্ছ ভারত মিশন( গ্রামীণ) প্রকল্পে ত্রিপুরায় বেস লাইন, ২০১২ অনুসারে ৪ লক্ষ ৮১ হাজার ৪টি বাড়িতে শৌচাল নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল৷ এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ১৪টি শৌচালয়ের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে৷ আরো ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৭০টির কাজ চলছে বলে পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের প্রতিনিধি সভায় জানান৷ এপ্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে কাজগুলি শুরু হয়েছে তা আগামী মে মাসের মাঝামাঝির মধ্যে শেষ করতে হবে৷ কারণ বর্ষার শুরুর আগেই যদি কাজ শেষ না করা যায় তাহলে বর্ষার জন্য কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে৷ তারপর বাকিগুলির কাজ পরবর্তী আর্থিক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে শেষ করতে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন৷ আজকের এই পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া, মুখ্য সচিব সঞ্জীব রঞ্জন, গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিব জি এস জি আয়েঙ্গার, পূর্ত দপ্তরের প্রধান সচিব লোকরঞ্জন এবং ৮টি জেলাশাসকগণ উপস্থিত ছিলেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *