নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ২৫ জানুয়ারী৷৷ কুড়ি বছর যাবত স্বামীর নির্যাতন সহ্য করছেন৷ কিন্তু, মঙ্গলবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৫টা নাগাদ স্ত্রীর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেল৷ নৃশংসভাবে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে স্বামী অজিত দেববর্মাকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হননি স্ত্রী বিশ্বরাণী দেববর্মা৷ মৃতের মুখে অ্যাসিড ঢেলে দিল স্বামী ঘাতক স্ত্রী৷ ঘটনাটি ঘটেছে খোয়াই জেলার চাম্পাহাওয়র থানাধীন বিদ্যাবিল এলাকার রামগোপাল বাড়িতে৷
সংবাদে প্রকাশ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাম্পাহাওয়র থানাধীন রামগোপাল বাড়ি এলাকার বাসিন্দা অজিত দেববর্মাকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করে স্ত্রী বিশ্বরাণী দেববর্মা (৩২)৷ ঘটনার খবর পেয়ে খোয়াই থেকে মহকুমা পুলিশ আধিকারীক শ্যামানন্দ শর্মা ও চাম্পাহাওয়র থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ এদিকে স্বামীকে হত্যা করে এক মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যায় স্ত্রী বিশ্বরাণী দেববর্মা৷ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে খোয়াই হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে ময়না তদন্তের জন্য৷ তবে এলাকাবাসীর অভিমত ভিন্ন৷ এলাকাবাসীর মতে বিশ্বরাণী দেববর্মাই সবসময় মদের নেশায় ডুবে থাকেন৷ এই নিয়ে পারিবারিক অশান্তি চলছিল৷ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটকের জন্য মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালানো হয় এবং বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টা নাগাদ সুইখ্যাবাড়ী এলাকা থেকে চাম্পাহাওয়র থানার পুলিশ বিশ্বরাণী দেববর্মাকে আটক করে৷ তবে স্বামীকে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে খুন করার পেছনে প্রকৃত কারণ কি তা এখনও ধুঁয়াশায় রয়েছে৷ অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে প্রকৃত ঘটনা এখনও প্রকাশ্যে আসার বাকি৷ এদিকে মৃতের পরিবারের তরফে বিশ্বরাণী দেববর্মার কঠোরতম শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে৷ গোটা ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য বিরাজ করছে৷ প্রসঙ্গত, স্থানীয় জনগণ যে অভিযোগ করেছে তা রীতিমতো আঁতকে উঠার মতো৷ তিন সন্তানের জননী আকন্ঠ মদ্যপান করে থাকার বিষয়টি থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠছে সমাজের কতটা অধঃপতন হচ্ছে৷ শুধুমাত্র পাহাড়ী এলাকাতেই নয় শহরের সম্ভ্রান্ত পরিবারের মহিলারাও নেশাসক্ত হচ্ছেন৷