নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ জানুয়ারী৷৷ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সামগ্রিক উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার যাতে উদ্যোগী
হয় সে জন্য এই অঞ্চলের রাজ্যগুলিকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে চাপ সৃষ্টি করতে হবে৷ এই অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়ন না হলে শুধুমাত্র ত্রিপুরা বা অন্য কোন রাজ্যের উন্নয়ন হলে কাজের কাজে কিছু হবেনা আজ শহীদ ভগৎ সিং যুব আবাসে ১৭তম উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দাবা প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার একথা বলেন৷ তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল দেশের অন্য অঞ্চলের রাজ্যগুলি থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে৷ উত্তর-পূর্ব ভারত যোগাযোগ এবং পরিকাঠামোর দিক থেকে স্বাধীনতার পর থেকেই বঞ্চিত হয়ে আসছে৷ অথচ এই অঞ্চলে প্রতিভার কোন অভাব নেই৷ এই প্রতিভার অন্বেষণে কেন্দ্রীয় সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এই দায়িত্ব পালন না করে দেশের অন্য অংশের জন্য অর্থ ব্যয় করছে৷ দেখা যাচ্ছে অন্যত্র অর্থ বরাদ্দ হলেও সেভাবে ফল পাওয়া যাচ্ছেনা৷ সময় এসেছে এর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির শিক্ষা, খেলাধূলা, সংসৃকতি, শিল্প সর্বত্র যাতে উন্নতি ঘটাতে পারে সে জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে বিকল্প চিন্তাভাবনা করার জন্য বাধ্য করাতে হবে৷ এ বিষয়ে কোন রাজ্য একা কিছু করতে পারবেনা৷ মুখ্যমন্ত্রী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে বের করার জন্য স্পেশাল প্যাকেজ ঘোষণা করার দাবী জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের ছেলেমেয়েরা একে অপরের সঙ্গে মেলামেশা করার সুযোগ পায়৷ এতে ভ্রাতৃত্ববোধ এবং পারস্পরিক সৌহার্দ গড়ে ওঠে৷
সম্মানিত অতিথির ভাষণে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র ডাঃ প্রফুল্লজিৎ সিনহা বলেন, দাবা স্ট্র্যাটেজি এবং ট্যাকটিস গেম৷ এই বিষয়গুলি আমাদের জীবনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য৷ ধৈর্য থাকলে দাবা খেলায় ভাল রেজাল্ট করা যায়৷ রাজ্যের বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব কমল সাহা বলেন, এই ধরনের প্রতিযোগিতা একে অপরকে জানার একটা বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করে৷ অনুষ্ঠানে এ ছাড়া অল ত্রিপুরা চেস এসোসিয়েশনের পৃষ্টপোষক মানস দেববর্মা বক্তব্য রাখেন৷ স্বাগত ভাষণ দেন অল ত্রিপুরা চেস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ চৌধুরী৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চেস এসোসিয়েশনের সভাপতি সলিল দেববর্মা৷
পাঁচদিন ব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় নাগাল্যান্ড ছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্য রাজ্যগুলি অংশ নিয়েছে৷ দুই শতাধিক দাবারু এতে অংশ নিয়েছে৷ এবার নিয়ে ত্রিপুরায় তৃতীয়বারের মত এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে৷