নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ জানুয়ারি৷৷ রাজ্য সরকার মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব গ্রহণ করার কথা ঘোষণা করলেও মাফিয়াদের একাংশ এখনো তাদের কাজকর্ম অব্যাহত রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে৷ বড় মাপের মাফিয়ারা লেজ গুটিয়ে গর্তে অবস্থান করলেও কিছু উঠতি সমাজদ্রোহী তাদের কাজকর্ম বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে৷ তাতে নতুন করে আতঙ্কে ভুগছেন সাধারণ মানুষ৷ বিশেষ করে জমি কেনা বেচার ক্ষেত্রে ঐসব সমাজদ্রোহীরা থাবা বসাচ্ছে৷ অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় ক্লাবের নাম ভারিয়ে ঐসব সমাজদ্রোহীরা জমি কেনা বেচার ক্ষেত্রে হপ্তা আদায় করে চলেছে৷ তবে সাধারণ মানুষও অতি সহজেই এখন হপ্তা দিতে নারাজ৷ রাজ্য সরকার এব্যাপারে কঠোর মনোভাব গ্রহণ করার ফলেই সাধারণ মানুষের চেতনা অনেকটাই জাগ্রত হয়েছে৷ মোটা অঙ্কের হপ্তা দাবি করলে থানা পুলিশে অভিযোগ জানাতেও পিছুপা হননা অনেকেই৷ এধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে রাজধানী আগরতলা শহরের জয়নগর এলাকায়৷ প্রায় বছর দুয়েক আগে জয়নগরে দীপঙ্কর সাহা নামে এক ব্যক্তি একটি দালানবাড়ি ক্রয় করেন৷ এলাকাটি জয়নগর যুব সমাজক্লাব এলাকায়৷ ঐ এলাকারই বাবণ নামে এক সমাজদ্রোহী জমি বিক্রেতার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে নিয়েছে বলে অভিযোগ৷ ক্রেতার কাছ থেকেও মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছে৷ ক্রেতা দীপঙ্কর সাহা টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় যুব সমাজ ক্লাবের নাম ভাড়িয়ে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে৷ ক্রেতা দীপঙ্করবাবু খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন ক্লাব থেকে এধরনের কোন চাঁদা দাবি করা হয়নি৷ বাবণ নামে ঐ ব্যক্তি মাইক রাজু নামে অপর এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগসাজশে কিছু সমাজদ্রোহীকে সঙ্গে নিয়ে মোটা অঙ্কের হপ্তা আদায়ের জন্য ফাঁদ পেতেছে৷ সে কারণেই জমির ক্রেতা টাকা পয়সা দিতে রাজি হননি৷ তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা জমি ক্রেতার বাড়িতে এসে হুমকি প্রদর্শন করে বলে অভিযোগ৷ এরই পরিপ্রেক্ষিতে দীপঙ্কর সাহা বটতলা পুলিশ আউট পোস্টে একটি মামলাও রুজু করেছেন৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলে সমাজদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি৷ এদিকে, যুব সমাজ ক্লাবের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সদস্যরা এধরনের সমাজদ্রোহী মূলক কাজকর্মের তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর৷ ক্লাবের নাম ভাড়িয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার কোন ধরনের প্রয়াস মেনে নেওয়া হবে না বলে অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করেছেন৷ উল্লেখ্য, রাজধানী শহর এলাকাতেও সরকার ও প্রশাসনের কঠোর মনোভাব উপেক্ষা করে যেভাবে নতুন করে সমাজদ্রোহীরা গজিয়ে উঠার চেষ্টা চালাচ্ছে তাতে প্রশাসন কঠোর হস্তক্ষেপ না করলে যে কোন সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে৷