নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ আগষ্ট৷৷ আগরতলা শহরের অন্যতম পুরনো বটতলা বাজারের আধুনিকীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার৷ একাজে তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চেয়েছেন৷ আজ ডাঃ বি আর আম্বেদকর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বটতলা বাজারের নবনির্মিত মৎস্য বিপনি ভবনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করে বলেন, রাজ্য সরকার চায় সমগ্র বটতলা বাজারটি এক আধুনিক সুযোগ সুবিধা যুক্ত বাজারে উন্নত হোক৷ এখানকার ব্যবসায়ীগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে আগরতলা পুর নিগমকে তাদের সম্মতির কথা জানালে, সেক্ষেত্রে সাথে সাথে এই বাজারের আধুনিকীকরণের কাজ শুরু করা হবে এভং তা খুব অল্প সময়ের মধ্য সম্পন্ন করা হবে যাতে করে ব্যবসায়ীদেরকে বেশী দিন অসুবিধায় থাকতে না হয়৷ সরকার বটতলা বাজারের সার্বিক আধুনিকীকরণে আগ্রহী৷ এই কাজে অর্থের যোগানের কোন অসুবিধা হবে না৷ মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সরকার আরো বলেন, প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের ফলে রাজ্যের সর্বত্র মাল্টি পারপাস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে৷ সেখানে গ্রামীণ এলাকার জনগণ ব্যবসা বাণিজ্য করছেন, এরফলে গ্রাম ও শহরের মধ্যে পরিকাঠামোগত ফারাক কমে এসেছে৷ এটা সম্ভব হয়েছে জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার মধ্য দিয়ে৷ অনুষ্ঠানে নগরোন্নয়নমন্ত্রী মানিক দে আগরতলা শহরে গৃহিত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতির উল্লেখ করে বলেন, নাগেরজলা মোটরস্ট্যান্ডের দ্বিতীয় পর্যায়ের উন্নয়নের কাজ শুরু করা হবে৷ তিনি বলেন, শীঘ্রই মঠচৌমূহনী বাজারের সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে৷ পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বাজারের সংস্কারের কাজও শুরু করা হবে৷ এজন্য উদ্যোগ চলছে৷ তিনি সংশ্লিষ্ট বাজারগুলির পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্বারোপ করেন৷
তপশিলী জাতি কল্যাণ মন্ত্রী রতন ভৌমিক বলেন, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বেশীর ভাগ বাজারকে আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে৷ মাছ বিক্রির পরিকাঠামোগত উন্নয়নের সাথে সাথে মাছের উৎপাদনও বাড়ানোর উদ্যোগ চলছে৷ এতে তুলনা মূলক ভাবে মাছের উৎপাদনও বেড়েছে৷ আরও নতুন নতুন জলাশয় সৃষ্টি করে বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে মৎস্য উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ চলছে৷
অনুষ্ঠানে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র ডঃ প্রফুল্লজিৎ সিনহা, নিগমের সেন্ট্রাল জোন উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান তথা পুর পারিষদ ফুলন ভট্টাচার্য্য, পুর পারিষদ গার্গী ঘোষ চৌধুরী, নিগমের কমিশনার ডঃ মিলিন্দ রামটেকে, বটতলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দুলাল মল্লিক, সম্পাদক সুশান্ত দাস প্রমুখ এই বাজারের আরও উন্নতির উপর গুরুত্বারোপ করে আলোচনা করেন৷
নবনির্মিত এই মৎস্য বিপণি ভবন নির্মাণ ২ কোটি ৪৩ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয় হয়৷ এতে মোট ২২১ টি ষ্টল সহ অন্যান্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে৷